শ্রীমদ্ভগবতগীতাকে বলা হয় শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত বাণী। কুরূক্ষেত্রের যুদ্ধ প্রান্তরে বিরুদ্ধপক্ষের পরিজনদের দেখে ব্যথিত হয়েছিলেন অর্জুন। ত্যাগ করেছিলেন অস্ত্র। বলেছিলেন আত্মীয়দের বিরুদ্ধে তিনি অস্ত্রধারণ করতে পারবেন না। সেই সময় শ্রীকৃষ্ণ যে জ্ঞান প্রদান করেছিলেন মধ্যম পাণ্ডবকে তাই লিপিবদ্ধ রয়েছে গীতার পাতায়। জীবনের অমূল্য শিক্ষা আমরা পেতে পারি শ্রীমদভগবতগীতা থেকে। জীবনের সকল সমস্যার সমাধান আছে গীতায়। শ্রীমদভগবতগীতা আমাদের জীবনের সঠিক পথের সন্ধান দেয়। আজ জেনে নিন গীতার কিছু অমূল্য উপদেশ। 

বিয়ের কার্ডে মোদিকে ভোট দেওয়ার আবেদন, মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল আমন্ত্রণপত্র

গীতায় বলা আছে যে অহংকারই পতনের মূল। যে জ্ঞান আমাদের মনে অহংকারের জন্ম দেয়, সেই জ্ঞান আসলে বিষের সমান। আর যে জ্ঞান মানুষকে আরও উদার ও সরল করে তোলে, সেই জ্ঞান হল অমৃতের সমান।

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে জীবনের সবচেয়ে বড় পরাজয় হল নিজের জয়ের সম্ভাবনা থেকে পালিয়ে যাওয়া। এরা জানে না যে এদের ভেতরে কতটা ক্ষমতা ও সম্ভাবনা রয়েছে। এই ক্ষমতাকে যদি আমরা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমরা জীবনে যা চাই, তাই লাভ করতে পারি।

শ্রীমদভগবত্‍ গীতা অনুসারে, যখন আপনার ভাল সময় চলবে তখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করুন এবং যারা বিপদে পড়েছেন, তাদের সাহায্য করুন। কারণ আপনি যখন বিপদে পড়বেন, তখন এই সব ভাল কাজই আপনাকে সাহায্য করবে।

স্থান পরিবর্তন করতে চলেছে একাধিক গ্রহ, অর্থের বৃষ্টি হবে এই রাশিগুলির উপর

ধর্ম ও সম্মান রক্ষা করার জন্য যদি আপনাকে নিজের ক্রোধকে ব্যবহার করতে হয়, তাহলে সেই রাগ পুণ্যের সমান। আর যখন ধর্ম ও সম্মান রক্ষার প্রশ্ন, তখনও ধৈর্য্য ধরে থাকলে সেই ধৈর্য্য পাপের সমান।

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে কাউকে অযাচিত উপদেশ দেওয়া ঠিক নয়, কোনও কারণ ছাড়া মিথ্যে বলা উচিৎ নয় এবং অতীতের সুখের স্মৃতিচারণ করাও উচিৎ নয়। কারণ এই তিন অভ্যাসই আমাদের দুঃখ দেয়।

গীতা অনুসারে ভালর সঙ্গে ভাল করা উচিৎ, কিন্তু খারাপের সঙ্গে খারাপ কাজ করা উচিৎ নয়। কারণে হীরে দিয়ে হীরে কাটা যায়, কিন্তু কাদা দিয়ে কাদা পরিষ্কার করা যায় না।

শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে আমাদের কাজ হল সেই শস্য, যা আমরা ভাল ফলনের জন্য রোপণ করি। ভাল কাজ করলে তার ভাল ফল পাওয়া যায় এবং খারাপ কাজ করলে খারাপ ফল পেতেই হবে।