ঘাটালের দাসপুরে একটি ধূপের
কারখানায় আগুন লেগেছিল মঙ্গলবার রাতে। এখনও সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা
যায়নি। বৃহস্পতিবার সেই কারখানায় গেলেন সাংসদ দেব।
কারখানার শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন মাটিতে বসে।
Holi 2024: দোলের রঙ তুলতে নাজেহাল হয়ে পড়তে হয়, চিন্তা নেই এই কয়েকটা টোটকা জানলেই চলবে
মাঠে দেবকে ঘিরে ধরেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে মহিলা
এবং শিশুদের উপস্থিতিও ছিল। সকলের কথা শুনতে কারখানার
উল্টো দিকে একটি মাঠে গিয়ে মাটিতে বসে পড়েন সাংসদ-অভিনেতা। দাসপুরের রসিকগঞ্জের ধূপ কারখানায় কাজ করেন অন্তত দু’হাজার শ্রমিক। মঙ্গলবার রাতে সেখানে হঠাৎই
আগুন লাগে। কী থেকে আগুন লাগল, তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিক
ভাবে শর্ট সার্কিটের কথা মনে করা হচ্ছে। কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন
দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন মঙ্গলবার রাত থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা
চালাচ্ছে। বুধবার একটা গোটা দিন কেটে যাওয়ার পরেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা
সম্ভব হয়নি।
বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া খুব প্রয়োজন, দাবি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজৎ গঙ্গোপাধ্যায়
আগুন-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে
দেব বলেন, “যখন থেকে আমি এই আগুন লাগার
খবর পেয়েছি, দিদির সঙ্গে যোগাযোগে
ছিলাম। কী ভাবে আগুন লাগল, তার তদন্ত হবে। কারখানা যাতে
দ্রুত শুরু হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন চেষ্টা
চালাচ্ছে। যত দিন না কারখানা চালানো যাচ্ছে, ছ’মাস পর্যন্ত এই কারখানার শ্রমিকদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া
হবে। মার্চ মাস থেকেই তা চালু হবে।”
দেবকে আসন্ন লোকসভা
নির্বাচনে আবার ঘাটাল থেকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। দেব
এদিন বলেন, “রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। দিদির কথায় ফিরেছি।
আমি চিৎকার করতে ভালবাসি না। কাজ করে দেখাই। ঘাটালে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। আমি
জিতি বা হারি, ঘাটাল মাস্টার
প্ল্যান হবে।”