সনাতক ধর্মে রুদ্রাক্ষকে ‘শিবের অশ্রু’ বলে বিবেচনা করা হয়। মত অনুযায়ী,
রুদ্রাক্ষের ক্ষমতা প্রচুর। কিন্তু এর ক্ষমতা
সম্পর্কে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। সেই ভুলগুলি সংশোধন করে নিলে
রুদ্রাক্ষ ধারণ অনেক সহজ, এমন কথাও জানান
রুদ্রাক্ষ বিশেষজ্ঞরা।
১) রুদ্রাক্ষ ধারণ করে
আমিষ ভক্ষণ উচিৎ নয়?
উত্তর- এও একেবারে ভুল ধারণা। খাদ্যাভ্যাস শরীরী বিষয়। আর রুদ্রাক্ষ
ধারণ করা হয় আধ্যাত্মিক কারণে।
শনি নয়, এই গ্রহগুলির কোপেও জীবন হয়ে উঠতে পারে দুর্বিষহ
২) রুদ্রাক্ষ কেবল
মাত্র সন্ন্যাসীরাই ধারণ করতে পারেন?
উত্তর- এমন ধারণা
কখনওই ঠিক নয়। সংসারী ব্যক্তির রুদ্রাক্ষ ধারণে কোনও বাধা নেই।
৩) রুদ্রাক্ষ উচ্চ
রক্তচাপ কমায়?
উত্তর- রুদ্রাক্ষের
সঙ্গে শরীরের প্রত্যক্ষ কোনও সম্বন্ধ স্থাপন হয় না। রুদ্রাক্ষ তার ধারণকারীকে
উচ্চতর মানসিক স্থিতি দান করে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বা ওই জাতীয় কোনও ক্ষমতা রুদ্রাক্ষের নেই।
Mahalaya 2023: মহালয়ার পুণ্য তিথিতে বদলে যাবে ভাগ্য, অর্থের বৃষ্টি হবে ৪ রাশি উপর
৪) ঘুমনোর সময়ে
রুদ্রাক্ষ খুলে রাখা উচিৎ?
উত্তর- এটিও ভুল ধারণা।
রুদ্রাক্ষ তার ধারণকারীকে অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে। রাত্রে ঘুমনোর সময়ে কী সেই
রক্ষাবলয়কে দূর করে দেওয়া যায়!
৫) স্নানের সময়ে
রুদ্রাক্ষ খুলে রাখা উচিৎ?
উত্তর- এ ধারণাও ভুল। জলের
স্পর্শ রুদ্রাক্ষকে সতেজ রাখে। সেই সঙ্গে যদি দেহও সংস্পর্শে থাকে, তা হলে তা অতি উপকারী।
৬) বার্ধক্য রুদ্রাক্ষ
ধারণের আদর্শ সময়?
উত্তর- একেবারেই নয়, তরুণ বয়সেও রুদ্রাক্ষ ধারণ ভাল ফল দেয়। রুদ্রাক্ষ মনকে সংযত
করে। ফলে তারুণ্যের উদ্দীপনার সঙ্গে ভাবসৌন্দর্য যুক্ত হয়।