বৃহস্পতিবার
নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেদিন সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে যেমন মাত্র নয়টি শব্দে মুখ খুলেছেন তিনি, তেমনই সওয়াল
করেছেন বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা করার জন্য।
এদিন
মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে বলেন, “বাংলা
অনেক বিষয়ে বঞ্চিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিভিন্ন মাপকাঠি মেনে কোনও কোনও
ভাষাকে ধ্রুপদী ক্লাসিক্যাল ভাষার স্বীকৃতি দেয়। এখনও পর্যন্ত স্বীকৃত ধ্রুপদী
ভাষাগুলি হল তামিল, সংস্কৃত,
তেলুগু এবং কন্নড়, মালায়ালাম ও উড়িয়া।
আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছি। একটি গবেষণা মূলক তথ্য জোগাড় করেছি। যেখানে দেখা যাচ্ছে
বাংলা ভাষার জন্ম এবং বিবর্তন হয়েছে গত প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে। এই ধ্রুপদী
প্রাচীনতা এবার সরকারের স্বীকৃতির যোগ্য। আমরা অনেক পণ্ডিত এবং অফিসারদের টিম তৈরি
করে প্রামাণ্য গবেষণাপত্র তৈরি করেছি। এতে দেখা যাচ্ছে বাংলার আগেই স্বীকৃতি পাওয়া
উচিৎ ছিল।'
পাশাপাশি রাজ্যের নাম
পরিবর্তন নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমরা দু'দুবার
বিধানসভায় পাস করেছি। যা যা জানতে চেয়েছে জানিয়েছি। তাও দীর্ঘদিন ধরে বাংলা
রাজ্যের নাম তারা দিচ্ছে না। বোম্বাই থেকে মুম্বই হয়েছে, আমাদের
হবে না কেন! বাংলা রাজ্যটার নাম হলে অনেক সুবিধা হবে। এখন আর ভাগাভাগির জায়গা নেই।
যেহেতু রাজ্যের নাম W দিয়ে শুরু তাই অনেক সময় বসে থাকতে
হয়। আমরা যুক্তি তর্ক দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
গঙ্গাসাগর মেলাতে এই বছর
২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোন দিকে আমরা কম। আগের বারও ৮০ লাখের উপর
মানুষ এসেছিল। এই বছর কুম্ভ নেই, তাই ভিড় এক কোটি ছাপিয়ে
যাবে। কেন সেক্ষেত্রে গঙ্গাসাগর জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না!’
এর
পাশাপাশি কোভিড নিয়ে জনগণকে সচেতন থাকতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।