চাকরি খুঁজতে গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে পড়া কালিম্পঙের এক বাসিন্দাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দু’দিন আগে, উর্জেন তামাং নামে ওই ব্যক্তির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও দিয়ে প্রচার শুরু করেন তাঁর স্ত্রী অম্বিকা তামাং। দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে ওই ভিডিওতে আবেদন করতে শোনা যায় উর্জেনকে।
প্রাক্তন সেনাকর্মী বছর সাতচল্লিশের উর্জেনের দাবি, চাকরির জন্য গত জানুয়ারি মাসে একটি সংস্থার মারফত তিনি দিল্লি হয়ে রাশিয়া যান। দু’-এক দিনের মধ্যে তাঁকে সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৭-১৮ দিন তাঁদের প্রশিক্ষণ চলে। সেখানে ‘বন্ড পেপার’-এ সই করিয়ে তাঁদের জঙ্গলের মধ্যে আর একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১০-১২ দিন বন্দুক চালানো শেখানোর পরে, তাঁদের বলা হয়, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে লড়তে যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে হবে। ভিডিওয় উর্জেনকে বার বার বলতে শোনা যায়, “ভারত সরকারকে অনুরোধ করছি, অনুগ্রহ করে আমাকে বাঁচান। এজেন্টদের কথায় ভরসা করে ফেঁসে গিয়েছি।”
এই ঘটনা প্রথম নয়৷ এর আগেও এমন হয়েছে। কী ভাবে দেশ থেকে যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তদন্তে জানা যায়, এ দেশের কিছু এজেন্ট ও সংস্থা রাশিয়ায় কাজ দেওয়ার নাম করে ভাড়াটে সেনাবাহিনীতে অন্তত ৩৫ জন ভারতীয়কে নিয়োগ করেছে। বিষয়টি মস্কোর নজরে আনে বিদেশ মন্ত্রক।
বিদেশ মন্ত্রক এই আশ্বাস দিলেও ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো সব ভারতীয় যে এখনও মুক্তি পাননি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে উর্জেনের ভিডিওবার্তায়।