বর্তমান যুগে নারীরা প্রায়
প্রতিটি শিল্প ও ক্ষেত্রে পা রাখছেন। সুতরাং, যারা বাড়ি বসে কোটি কোটি টাকা অর্জন করার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য রইল কিছু ব্যবসাহি ধারণা। তবে ব্যবসা করতে, অর্থ যে কোনও ব্যবসার মেরুদণ্ড।
সাধারণত অর্থের অভাবে মানুষ তাদের
স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। ব্যবসায়িক ঋণ অনেকের স্বপ্নকে সত্যি করেছে। যারা
ব্যবসা শুরু কথা ভাবছেন, তারা এই ঋণ নিয়ে
নতুন কিছু শুরুর কথা ভাবতেই পারেন। কী কী ঋণ পেতে পারেন?
জন্মকুন্ডলীতে বুধের অশুভ প্রভাব কাটাতে ব্যবহার করুন এই টোটকা
স্ত্রীশক্তি প্যাকেজ: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই ঋণটি দেয়। এমন মহিলাদের
দেওয়া হয় যাদের যেকোনও ব্যবসায় ৫০% বা তার বেশি অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই লোন
নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
১) যোগাকেন্দ্র: স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং ব্যায়াম সারা বিশ্বের মানুষ
সহজেই গ্রহণ করছে। প্রতিদিনের ব্যায়ামের অংশ হিসেবে মানুষ বিভিন্ন ব্যায়াম
যেমন-নাচ (জুম্বা), অ্যারোবিকস এবং
যোগব্যায়াম করে। মহিলারা পেশাদার প্রশিক্ষক হতে পারে এবং ফিটনেস সেন্টার পরিচালনা
করতে পারে। মহিলারা যোগ অনুশীলনে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এরপর যোগ প্রশিক্ষক হিসাবে
তাদের পেশাদার অনুশীলন করতে পারেন।
২) জুম্বা প্রশিক্ষক: জুম্বা একটি বিখ্যাত নৃত্যের ধরন যা বর্তমানে প্রচুর মানুষ
ব্যায়াম হিসাবে বেছে নিচ্ছে। মহিলারা তাদের এলাকার বাসিন্দাদের জন্য জুম্বা ক্লাস
শুরু করতে পারেন।
৩) ট্যারো কার্ড রিডার: ট্যারো কার্ড রিডিং হল কার্টোম্যানসির একটি রূপ। যাতে অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতের অন্তর্দৃষ্টি অর্জনের জন্য ট্যারো
কার্ড ব্যবহার হয়। কেরিয়ার, সম্পর্ক, বিবাহ জীবন, ভবিষ্যৎ ইত্যদি সবকিছুর সম্ভনার কথা জানা
যায় ট্যারো কার্ড রিডিংয়ে। প্রশিক্ষণ নিয়ে এই কাজ শুরু করতে পারেন।
ভারত ছাড়া আর কোন দেশে গোরু গোমাতা হিসেবে পূজিত হয়
৪) নেইল আর্ট স্টুডিও: নেইল আর্ট মহিলাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়, তবে সবাই এতে বিশেষজ্ঞ নয়। যদি আপনি হন, প্রশিক্ষণ নেন, এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৫) কেকের ব্যবসা: আপনি যদি কেক তৈরিতে পারদর্শী হন, তাহলে খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করে বাড়ি থেকে এই ব্যবসা
শুরু করতে পারেন। একটি কেক তৈরি করতে, আপনার শুধু একটি ওভেন লাগবে। এ ছাড়া কেক তৈরিতে যা যা উপকরণ লাগে তা বাজারে
সহজেই পাওয়া যায়। শুধুমাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে কেক ব্যবসা শুরু
করতে পারেন। সহজেই মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
৬) অ্যাকাউন্ট কিপিং: কেউ যদি কমার্স গ্র্যাজুয়েট হন, তাহলে তিনি বাড়িতেই অ্যাকাউন্টিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কারণ অনেক ছোট কোম্জল এমন লোকদের খুঁজছে যারা তাদের কোম্জলর অ্যাকাউন্ট রাখার
সঙ্গে সম্পর্কিত কাজ যেমন তাদের জন্য ব্যালেন্স শীট তৈরি করতে পারে। এই ধরনের হোম
বেস চাকরি পেতে, আপনাকে শুধু চাকরির সাইটে আপনার সিভি
আপলোড করতে হবে।
৭) অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের ব্যবসা: আপনি যদি জানেন কীভাবে অনলাইনে রেলওয়ে, বিমানের টিকিট বুক করা যায় এবং বিদ্যুতের বিল দিতে জানেন, তাহলে আপনি আপনার বাড়ি থেকে অনলাইন টিকিট বুকিং এবং তাদের
বিল পরিশোধের কাজ শুরু করতে পারেন। এই কাজটি শুরু করতে আপনার শুধু ইন্টারনেট, কম্পিউটার এবং প্রিন্টার লাগবে। আপনি সাইড বিজনেস হিসেবেও
এই কাজটি শুরু করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
৮) অনলাইন সার্ভে: অনেক কোম্জল আছে যারা ফোনে বা অনলাইনে ঘরে বসে তাদের
কোম্জলর জন্য সার্ভে করতে পারে এমন লোকদের খুঁজছে। যে কারণে ঘরে বসে পার্টটাইম জব
করার কথা ভাবছেন এমন গৃহিণীরা এই কাজ করতে পারেন। এই চাকরি পেতে, তাদের শুধু চাকরির সাইটে তাদের বায়োডাটা শেয়ার করতে হবে।