গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিশিষ্ট সিপিএম নেতা
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সি প্যাপ সাপোর্টে রাখা
হয়েছে তাঁকে। গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharya: গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে বুদ্ধদেব, গ্রিন করিদোর করে পাম এভিনিউ থেকে আনা হল আলিপুরে
আরও পড়ুন: Health Tips: এক ধরনের নয়, কনজাংটিভাইটিস হচ্ছে পাঁচ রকমের- আপনি কোনটিতে আক্রান্ত দেখে নিন
চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অক্সিজেনের মাত্রা কিছুটা স্বাভাবিকের
পথে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, জানিয়েছেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য তৈরি
মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন, কৌশিক
চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক
পণ্ডা, সুস্মিতা দেবনাথ, আশিস
পাত্র, অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, সপ্তর্ষি
বসু এবং সরোজ মণ্ডল।
আলিপুরের বেসরকারি
হাসপাতালের ৫১৬ নম্বর কেবিনে আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে
দেখতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুদ্ধদেবের
সুস্থতা কামনা করে টুইট করেছেন দুই বিরোধী দলনেতা
কুণাল ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী।
হাসপাতালে ভর্তি করার আগে বাড়িতেই
অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বুদ্ধ। সেখানে দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেন সাপোর্ট। কিন্তু উন্নতির
সেরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। এদিকে অসুস্থতা সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি
তিনি। কিন্তু চিকিৎসক, পরিবার ও দলের
সদস্যরা আর ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কয়েক দিন ধরেই জ্বর ছিল বুদ্ধদেবের।
শনিবার সকাল থেকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নীচে নেমে যায়, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। তা সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছিলেন
না তিনি। এ ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইতেন না বুদ্ধদেব।
কিন্তু আর ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকেরা। তাই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়। গ্রিন করিডর করে পাম অ্যাভিনিউ’র বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সঙ্গে
আসেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। আগেই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন তাঁদের সন্তান সুচেতন।