ব্রহ্মচারিণী
দেবী নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনের আরাধ্যা দেবী। দেবীর নামের মধ্যেই রয়েছে ‘ব্রহ্ম’ শব্দ। ব্রহ্ম শব্দের অর্থ তপস্যা। অর্থাৎ যে দেবী তপস্যা করেন তিনিই ব্রহ্মচারিণী। নারদের কথায়
দেবী দুর্গা হাজার বছর ধরে মহাদেবের তপস্যা করেছিলেন। তাই তিনি ব্রহ্মচারিণী।
বাড়িতে নবরাত্রির পুজো করলে অবশ্যই মানুন এই নিয়মগুলি
মায়ের
ব্রহ্মচারিণী রূপে এক হাতে কমণ্ডলু, অন্য হাতে জপমালা। দেবীর এই রূপের পুজো করলে জীবনে
পুণ্য বৃদ্ধি পায়। যে ব্যক্তি ভক্তিভরে ব্রহ্মচারিণী দেবীর পুজো করেন তিনি কখনও কর্তব্যের
পথ থেকে বিচ্যুত হন না। প্রতিটি কাজে সফলতা অর্জন করেন।
ব্রহ্মচারিণী
দেবীর প্রার্থনা মন্ত্র:
দধানা
করপদ্মাভ্যামক্ষমালাকমণ্ডলু
দেবী
প্রসীদতু ময়ি ব্রহ্মচারিণ্যনুত্তমা
শুরু হল নবরাত্রি, অর্থভাগ্য খুলতে আজ বাড়িতে আনুন এই জিনিসগুলি
দেবী
ব্রহ্মচারিণীর ব্রতকথা
দেবী
সতী দক্ষরাজের যজ্ঞকুণ্ডে প্রাণত্যাগ করার পর হিমালয় কন্যা পার্বতী হয়ে জন্ম
নেন। দেবর্ষী নারদের পরামর্শে তিনি ভগবান শিবকে পতিরূপে লাভের জন্য কঠোর তপস্যা শুরু
করেন। তাই তাকে 'তপঃচারিণী'
বা 'ব্রহ্মচারিণী' বলা হত। হাজার বছরের তপস্যায় গাছের মূল,
শাক, শুষ্ক বিল্বপত্র খেয়ে জীবনধারণ করেছিলেন তিনি।
একসময়
পার্বতী শাক পাতা খাওয়াও ছেড়ে দেন এবং 'অপর্ণা' নামে পরিচিত হন। দেবাদিদেব মহাদেব বহুবার তাঁর তপস্যা ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ
হন। এই তপস্যার ফলে দেবী পার্বতী ব্রহ্মার আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। ব্রহ্মা তাঁকে
আশ্বস্ত করেছিলেন যে শিব তাঁকেই বিয়ে করবেন। পরে মহাধূমধাম করে সেই বিয়ে হয়েছিল।
নবরাত্রির
দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো করা হয়। মহিলারা এই দিনে সাদা শাড়ি পরেন।
দেবীপুরাণ অনুসারে এই দিনে দুজন কুমারী মেয়েকে অন্নদান করতে হয়।