ছোট থেকেই আমরা জেনে আসছি মানুষের দেহের রক্তের অনেক
গ্রুপ রয়েছে। এই রক্ত মূলত চার ভাগে বিভক্ত যথা- এ, বি, এবি এবং ও। আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানে এই রক্তের গ্রুপের
গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু রক্তের গ্রুপের সঙ্গে খাবারের সত্যিই কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন
গবেষকরা।
কোন ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে সর্বোচ্চ কত পরিমাণ টাকা তুলতে পারেন গ্রাহক
পিটার ডি আডামো নামক এক চিকিত্সক
তার বইতে প্রথম রক্তের গ্রুপের ওপর ভিত্তি করে একটি খাদ্যতালিকা তৈরি করেন।
দেখে নিন কেমন ছিল সেই তালিকা-
ও গ্রুপ
যাদের দেহে ও গ্রুপের রক্ত রয়েছে
তাদের প্রোটিন সমৃদ্ধ প্রাণীজ খাদ্য খাওয়া দরকার। অর্থাৎ মূলত মাছ, মাংস ও ডিম খাওয়া যেতে পারে। সবজির মধ্যে খাওয়া যেতে পারে ব্রকলি, পেয়াজ, রসুন ও কুমড়ো।
অন্যদিকে, এড়িয়ে চলতে হবে দানা শস্য ও দুগ্ধজাত
পদার্থ।
এ গ্রুপ
এ গ্রুপের রক্ত থাকলে লাল মাংস বাদ
দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। খেতে হবে শাকসবজি। সম্পূর্ণ নিরামিষ খাদ্যগ্রহণ হতে
পারে সবচেয়ে উপযোগী।
ভাড়াটিয়াও হতে পারেন বাড়ির মালিক, ভারতীয় আইনে রয়েছে এমনই নির্দেশ
বি গ্রুপ
বি গ্রুপের মানুষদের মুরগি ও শূকরের
মাংস খাওয়া চলবে না। এছাড়াও গমের আটা, ভুট্টা, ডাল ও টমেটোও কম খাওয়াই ভাল। তবে এই
খাদ্যগুলি বাদে অন্যান্য প্রাণীজ প্রোটিন খেতে কোনও বাধা নেই।
এবি গ্রুপ
এবি গ্রুপের রক্ত রয়েছে এমন মানুষদের
এ ও বি গ্রুপের মানুষদের খাদ্যতালিকার মিশ্র একটি খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ, দুগ্ধজাত পদার্থ, ডাল ও দানাশস্য থেকে তৈরি হওয়া খাবার। তবে এড়িয়ে চলতে হবে
রাজমা,
ভুট্টা। মুরগির মাংসও না খাওয়ায় ভাল।
তবে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা
প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।