গত ১৯ এপ্রিল এমন এমন একটি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO) যা মেরুদণ্ডে হিমেল স্রোত বইয়ে দেওয়ার মতো। হু জানিয়েছে H5N1 বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেন সংক্রামিত প্রাণীর দুধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে।

বার্ড ফ্লু এর আগেও হয়েছে।৷ এর আগে ১৯৯৬ সালে, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এ প্রাথমিকভাবে পাওয়া হয়েছিল। ২০০০ এর দশকে H5N1 এর প্রাদুর্ভাবে আতংকিত হয়ে পড়েছিল বিশ্ববাসী৷ তবে তা ছিল সাময়িক। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে পাখিদের মধ্যে বার্ড ফ্লুয়ের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি স্তন্যপায়ী প্রাণীও ক্রমশ এই রোগের শিকার হচ্ছে। বন্য পাখির পাশাপাশি স্থল ও সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে সংক্রমণের ফলে লক্ষ লক্ষ মুরগির মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত পশুর তালিকায় গরু-ছাগলও যুক্ত হয়েছে।

টেক্সাস এবং নিউ মেক্সিকোতে গরু অসুস্থ হওয়ার খবর শোনা গিয়ছে। এর মধ্যে কয়েকটি খামারে মৃত পাখিও পাওয়া গিয়েছে এবং ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে যে কিছু গরু বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রোগ্রামের প্রধান ওয়েনকিং ঝাং বলেছেন যে, "টেক্সাসের ঘটনাটি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জায় একটি গরু থেকে সংক্রামিত হওয়ার প্রথম ঘটনা। এই বর্তমান প্রাদুর্ভাবের সময় পাখি থেকে গরু, গরু থেকে গরু এবং গরু থেকে পাখির সংক্রমণও রেকর্ড করা হয়েছে। যা ইঙ্গিত করে যে ভাইরাসটি সংক্রমণের অন্যান্য পথ খুঁজে পেয়েছে যা আমরা আগে ভেবেছিলাম। আক্রান্ত পশুর দুধেও এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।"

তাঁর আরও সংযোজন, কাঁচা দুধে ভাইরাসের পরিমাণ অনেক বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনও গবেষণা করছেন যে ভাইরাসটি দুধে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। ঝাং বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য অনুশীলন নিশ্চিত করা মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে শুধুমাত্র পাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত।

তবে এত আতংকের মধ্যে একটি ভাল খবরও জানা গিয়েছে।  এই মাসের শুরুর দিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টেক্সাসের একটি খামারে সংক্রামিত গবাদি পশুর সংস্পর্শে আসার পরে বার্ড ফ্লু থেকে একজন ব্যক্তির সুস্থ হয়ে উঠেছেন।