নতুন বছর পড়তেই হাওড়া স্টেশনের মুকুটে জুড়ল একটি নয়া পালক। ভারতের প্রথম গ্রিন স্টেশনের সম্মান পেল হাওড়া স্টেশন। পরিবেশবান্ধব স্টেশন হিসেবে পরিচিত হল দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বাংলার ব্যস্ততম এই রেলস্টেশনটি। সিলভার, গোল্ড এবং প্লাটিনাম এই তিনটি বিভাগে বিভক্ত এই রেটিং ব্যবস্থা। তার মধ্যে ‘প্লাটিনাম’ ব্যাজ পেয়েছে হাওড়া।

রাতে মাছ খেতে নেই, শুধুমাত্র জ‌্যোতিষশাস্ত্রে নয় এর রয়েছে বিজ্ঞানসম্মতও বেশ কিছু কারণ

দেশের রেলস্টেশনগুলি কতটা পরিবেশবান্ধব তা ঠিক করতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রি-ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল একটি রেটিং সিস্টেম চালু করেছে। ২০১৮ সালে হাওড়া সিলভার রেটিং পেয়েছিল। তারপর পরিছন্নতা এবং সবুজায়ন নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেয় এই ডিভিশনাল রেল কর্তৃপক্ষ। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩টি প্ল্যাটফর্মের ছাদ এবং মূল স্টেশন ভবনের ছাদে মোট তিন মেগাওয়াটের সৌরপ্যানেল বসানো হয়েছে।

স্টেশনের সমস্ত আলো আগেই এলইডি-তে পরিবর্তিত করা হয়েছে। দিনের বেলা স্টেশনে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ছ’হাজার ওয়াটের মতো। ওই চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে দেয় সৌর প্যানেল। এ ছাড়াও, স্টেশনের জল সংরক্ষণ এবং কঠিন বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে বৃষ্টির জল ধরে রাখার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব হয়েছে হাওড়া স্টেশন। গত বছর জুন মাসে সোনার সম্মান পেয়েছিল হাওড়া। আর নতুন বছরের শুরুতেই পেল সর্বোচ্চ অর্থাৎ প্ল্যাটিনাম সম্মান।

Malpua Recipe: রাঙা আলু দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন নয়া স্বাদের মালপোয়া

আগেই হেরিটেজ তকমা পেয়েছিল হাওড়া স্টেশন। আর এবার গ্রিন স্টেশনের মর্যাদা পেল গঙ্গাপাড়ের লাল বাড়ি সংলগ্ন স্টেশটি। ১৮৫৪ সালে হাওড়া স্টেশন চালু হয়েছিল। ২৩টি প্ল্যাটফর্ম সমন্বিত এই স্টেশনে বৈদ্যুতিকরণ হয় ১৯৫৪ সালে। ২০১৭ সাল থেকে সবুজায়নের উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় আনা হয় হাওড়া স্টেশনকে। তাছাড়া আধুনিকীকরণের কাজ হয়েছে আরও। যেমন, এত দিন হাওড়া স্টেশনে ফার্স্ট ক্লাস ওয়েটিং রুম ছাড়া যাত্রীদের অপেক্ষা করার মত তেমন কোনও জায়গা ছিল না। এই অভাব পূরণ করতে হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার পাশে যে পুরনো টিকিট কাউন্টার ছিল সেখানে তৈরি করা হয়েছে এগ্‌জিকিউটিভ লাউঞ্জ। প্রায় ২৫২ বর্গ মিটার এই লাউঞ্জে আছে বিলাসবহুল থাকার ব্যবস্থা। পূর্ব রেলের কর্তাদের বক্তব্য, হাওড়া এমনিতেও দেশের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন। আগামী দিনে ব্যস্ততা আরও বাড়বে। তাই স্টেশনকে আরও আধুনিক করে তোলার জন্য আগামী দিনে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।