আধুনিক জীবনযাপনে
প্রায়ই দেখা যায়, তরুণ দম্পতিরা রাতের খাবার দেরিতে
খান। খাবার খেয়ে অনেক রাতে ঘুমোতো যাওয়া। তার পর সকালে উঠে শিশুকে স্কুলে পৌঁছে
দেওয়া, অফিস যাওয়া। তার আগে শিশুকে স্কুলের জন্য
সাজিয়ে-গুছিয়ে দেওয়া। আর এই তাড়াহুড়োতে অনেক ভুল করে ফেলেন। তাতে অসন্তুষ্ট হন
দেবী অন্নপূর্ণা। সেক্ষেত্রে কী করবেন জেনে নিন।
নবরাত্রি চলছে, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করার সময় এই ভুলগুলি করবেন না
বেশি রাতে খাওয়া, আর সকালে ওঠা- তার জেরে তাড়াহুড়ো করে রাতে ঘুমোন বহু মানুষ। রান্নাঘর
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। রাতভর অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থেকে
যায় রান্নাঘর। এমনটা করবেন না। যত দেরিই হোক না কেন রান্নাঘর সাফ করবেন।
খাবার খাওয়ার পরে প্রায়শই
রাতে রান্নাঘরের নোংরা বাসন ফেলে রাখেন বহু মানুষ। এটা কখনও করা উচিৎ নয়। অনেকের
সকালে গৃহপরিচারিকা এসে বাসন মাজেন। সেক্ষেত্রে থালা-বাসন ধোয়ার জায়গায় রেখে দিন।
সেখানে জল ঢেলে রাখুন।
‘ঈশ্বর প্রদত্ত’ ক্ষমতার অধিকারী তিনি, ভোটের আগে ‘ঘর মে ঘুস কর মারেঙ্গে’র হুঙ্কার মোদির
বাসনপত্র সরানোর পর
যেখানে গ্যাসের ওভেন থাকে সেই জায়গাটি পরিষ্কার করুন রাতেই। গ্যাসের ওভেনে যেন
এঁটো-কাঁটা বা তরকারি লেগে না থাকে। রাতের বেলায় ঘুমোনোর আগে রান্নাঘর পরিষ্কার
রাখলে থাকে মা লক্ষ্মীর কৃপা।
দিনে প্রথমবার যখনই
টিফিন বা খাবার তৈরির জন্য গ্যাসে জ্বালানো হয়, তখন
মনে মনে মা অন্নপূর্ণাকে স্মরণ করুন। লোকবিশ্বাস, অন্নপূর্ণার
আশীর্বাদ থাকলে রান্নাঘরে খাবারের অভাব হয় না।