অর্জুন সিংয়ের বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে
প্রকাশ্যে মতামত জ্ঞাপন করলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে
অর্জুনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘অর্জুন তো এখনও বিজেপিরই এমপি (সাংসদ)। ও
তো সাংসদ পদ ছাড়েনি। ব্যারাকপুরে আমাদের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। ও খুব ভাল ছেলে।
ইরিগেশন মিনিস্টার (সেচমন্ত্রী) হিসাবে কাজ করছে।’’
জ্ঞানব্যাপীর পর শিরোনামে ভোজশালা! এটি আদপে মন্দির না মসজিদ-খতিয়ে দেখতে মাঠে নামল ASI
রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের
মঞ্চে ছিলেন অর্জুন। সেই মঞ্চ থেকেই ব্যারাকপুরের প্রার্থী হিসাবে পার্থের নাম
ঘোষণা করে তৃণমূল। রবিবার বিকেল থেকেই তাঁর ক্ষোভের কথা জানাতে শুরু করেছিলেন
অর্জুন। তার পর ক্রমে সেই ঝাঁজ বেড়েছে। মঙ্গলবার তাঁর জগদ্দলের বাড়ির অফিস থেকে
সকালে মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দেন অর্জুন। তার পর বিকেলে সেই
জায়গায় চলে আসে নরেন্দ্র মোদির
ছবি। বুধবার সকালে অর্জুন খোলামেলা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি
ব্যারাকপুর থেকেই লড়বেন। নির্দল নয়, কোনও দলের হয়েই
লড়বেন।
এবার অযোধ্যায় রামন্দির দর্শনে গেলেই মিলবে বিনামূল্যে চিকিত্সা পরিষেবা
অর্জুনের
দাবি গতবার যা ভোট পেয়েছিলেন তার থেকে বেশি ভোট পাবেন তিনি। ব্যারাকপুর লোকসভায় যে
তিনি প্রার্থী হতে চান, তা ২০১৯ সালেই স্পষ্ট করে
দিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু সে বার তৃণমূল তাঁকে ব্যারাকপুরের প্রার্থী করেনি। তিনি
তার পর বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী
দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে প্রথম বার সংসদে প্রবেশ করেন অর্জুন। তারপর আবার ফিরে
এসেছিলেন ঘরে।
কিন্তু
২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও ব্যারাকপুরে তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। এতে আবার ক্ষুব্ধ
হয়েছেন অর্জুন। তাঁর কথায় আবার দলবদলের সম্ভাবনা উঁকি মারছে। বুধবার তাঁর দাবি, তিনি ব্যারাকপুরে পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধেই লড়াই করবেন এবং এ বার তাঁর জয়ের
ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পাবে। একটা বিষয় পরিষ্কার, অর্জুনের
তৃণমূল ত্যাগ কেবল সময়ের অপেক্ষা। তাহলে কি তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য বুধবারও ভেঙে দেননি অর্জুন। তবে অন্য দলে যে যাচ্ছেন
তা মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেটা বিজেপিই কিনা তা অবশ্য নিশ্চিত করেননি।