বর্ধমানের জনসভা থেকে হুঙ্কার দিয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত শাহ। জানালেন, ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের
হত্যাকারীদের পাতাল থেকে খুঁজে বার করে এনে জেলে ভরবে বিজেপি সরকার। বাংলার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধুয়ে দিয়েছেন তিনি রামমন্দির থেকে কাশ্মীরের
৩৭০ ধারা বিলোপ ইস্যুতে। পাশাপাশি লোকসভায় বাংলা থেকেই ৩০ আসনের লক্ষ্য বেঁধে
দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই পাঁচ ফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায় যে কোনও দেবতার পুজো, জেনে নিন
বধর্মান পূর্ব থেকে হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারকে প্রার্থী
করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাঁর সমর্থনেই মেমারি বিধানসভা এলাকার রসুলপুরে সভা
করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি টেনে এনেছেন ২০২১ সালের বিধানসভা
নির্বাচনের পরে বাংলায় ঘটা হিংসার ঘটনাকে।
শুধুমাত্র সমস্যায় পড়লে ফোন রিস্টার্ট করেন, কিন্তু জানেন নিয়মিত মুঠো ফোনটি রিস্টার্ট করলে কী কী উপকার মেলে
ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা বলতে গিয়ে এদিন শাহ সন্দীপ ঘোষ, সুশীল
মণ্ডল, সুখদেব প্রামাণিক, রবিন
পাল, বলরাম মাঝি, ভাদু দাস-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীর কথা বলেন।
তিনি সরাসরি অভিযোগ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি
উপরোক্ত ব্যক্তিরা তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতে খুন হয়েছেন। তারপরই কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঙ্কার, ‘‘আমি আজ বলে যাচ্ছি, যাঁরাই
এই হত্যা করছে, আমাদের সরকার গঠনের পর সকলকে পাতাল থেকেও খুঁজে বার
করে এনে জেলে পাঠানোর কাজ করবে বিজেপি।’’
মঙ্গলবারের সভা থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ ছাড়াও
একাধিক ইস্যুতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘অযোধ্যায়
রামমন্দির করেছে বিজেপি সরকার। ৭০ বছর ধরে এই রামমন্দির ইস্যু ঝুলিয়ে রেখেছিল
কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টরা।
মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেই রামমন্দির করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতাদি এবং ভাইপোকে
আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা যাননি।’’ তার
পরই সিএএ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শাহ। তিনি স্পষ্ট জানান, বাংলায়
সিএএ কার্যকর হবেই।