শিওরে লোকসভা নির্বাচন। দেশজুড়ে চলছে তাই প্রচার। সোমবার ত্রিপুরার জনজাতি অধ্যুষিত কুমারঘাটে সভা সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ত্রিপুরায় বামকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল রাম। ফলে সেখানে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিশানায় কমিউনিজম-ই থাকবে তা তো বলে দিতে হয় না। এদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। বাম জমানায় জঙ্গি তৎপরতা এবং অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে সোমবার অমিত শাহ বলেন, ‘‘কমিউনিস্টরা এখানকার যুবকদের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়েছেন।’’

ভুলেও এদিকে প্রধান দরজা বানাবেন না, বিপদ পিছু ছাড়বে না

স্বরাষ্টমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘সিপিএম কয়েক দশক ধরে এই রাজ্য শাসন করেছে। তারা মহারাজা বীর বিক্রমকিশোর মাণিক্যের অবদানকে খাটো করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে আগরতলা বিমানবন্দরের নাম করেছে মহারাজা বীর বিক্রমের নামে। স্থাপন করেছেন তাঁর মূর্তি।’’

‘৬০ বছরের সমস্যা থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে বার করে আনব, বিশ্বাস রাখুন’- ভূস্বর্গবাসীর মাথায় আশ্বাসের হাত নমোর

আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা আসনেই ভোটগ্রহণ হবে। ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সন্তান প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মণের দল তিপ্রা মথার সঙ্গে এ বার জোট গড়েছে বিজেপি। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রদ্যোতের দিদি কীর্তি সিংহ দেববর্মা। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

ত্রিপুরায় এখনও পর্যন্ত বিশেষ দল হিসেবে পরিগণিত হয় বামেরা। এবার বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস। ফলে টক্কর হবে প্রায় সমানে সমানে। জনজাতি অধ্যুষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনে জোটের তরফে লড়ছে সিপিএম। প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং। অন্য দিকে, পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে জোটের তরফে লড়ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস সাহা।

সোমবারের সভা থেকে অমিত শাহ দাবি করেছেন যে এ বারের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কংগ্রেস মুছে যাবে।