বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ টাইটানিক মধ্যরাতে ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১৫০০
মানুষের মৃত্যু হয়। টাইটানিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য জেনে নিন।
HistoryNightsAbout.com অনুসারে, জীবন রক্ষাকারী ড্রিল যা দুর্ঘটনার আগে
১৪ এপ্রিল করার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়। দুর্ঘটনাটি সেই রাতেই ঘটে। এই ড্রিলটি হলে
অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত।
দুর্ঘটনার তদন্তে দেখা গিয়েছিল, জাহাজের ক্যাপ্টেনের হাতে সময় ছিল ৩৭ সেকেন্ড
যাতে জারি করা সতর্কতা এড়ানো যেত কিন্তু তা হয়নি। ইঞ্জিনে থাকা অফিসার রিভার্স গিয়ার
ধরতে পারার আগেই জাহাজটি একটি হিমবাহের সাথে ধাক্কা খায়।
টাইটানিক ১৯০০ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। জাহাজটিতে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ছিল।
ছিল নিজস্ব সংবাদপত্র।
দুর্ঘটনার তদন্তে আরও জানা যায় যে, টাইটানিকে পর্যাপ্ত লাইফবোট ছিল না।
৪০টির পরিবর্তে, সেখানে মাত্র সাতটি লাইফবোট ছিল যাতে খুব কম লোক ডুবে যাওয়া থেকে
বাঁচতে পারে।
দুর্ঘটনায় এটিও প্রকাশ পায় যে কার্পাথিয়া জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময়
টাইটানিকের কাছাকাছি ছিল, তবে টাইটানিকের কর্মকর্তারা ক্যালিফোর্নিয়ান জাহাজের কাছ
থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন যা অনেক দূর দিয়ে ভ্রমণ করছিল। শুধু তাই নয়, রাত পৌনে একটা
থেকে একটা বেজে যাওয়ার কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার জাহাজের কর্মকর্তারা টাইটানিকের অনুরোধে
কর্ণপাত করেননি।
টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সময় সেখানে নয়টি কুকুরও উপস্থিত ছিল, যার মধ্যে
দুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
টাইটানিক-এ দেখা চারটি সাদা এবং কালো চিমনির মধ্যে তিনটি কার্যক্ষম ছিল।
টাইটানিককে ডাক যান হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনাও ছিল। এ জন্য আমেরিকা
ও ব্রিটেনের ডাক বিভাগের অফিস খুলে কর্মচারী রাখা হয়। জাহাজ ডুবির সময় প্রায় সাড়ে
তিন হাজার বান্ডিল চিঠি এতে ছিল।
দুর্ঘটনার দু’দিন পর তিনশোরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শতাধিক বিকৃত দেহ সাগরে
ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত টাইটানিকে একই বাথরুমে স্নান করতে হত বহু মানুষকে।
১৯০০ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়া জাহাজটিতে মাত্র দুটি বাথটাব ছিল।