সুভাষচন্দ্র বসু, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা। তিনি ১৮৯৭
সালের ২৩ জানুয়ারি বর্তমান ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ ভাগাও
আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র ছিলেন মহাত্মা গান্ধির বিপরীত মতাদর্শি। তিনি মনে করতেন গান্ধিজির অহিংসার নীতি ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। দেশের জন্য
তাঁদের প্রাণ দেওয়া। তাঁদের আত্মবলিদান থেকে শুরু করে তাঁদের সংগ্রামের কথা সকলেই
জানেন। তবে অনেকেই জানেন না সুভাষচন্দ্র বসু একেবারে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের
মতো জীবনযাপন করতেন। তাঁর মধ্যে একেবারেই কোনও আড়ম্বর ছিল না।
তবে বহু বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত
তাঁর অন্তর্ধান রহস্য রয়েই গিয়েছে থেকে গিয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে ‘গুমনামি বাবা’ নামের এক ব্যক্তি রয়েছেন
তিনিই আদপে নকী নেতাজি। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে প্রচুর। তবে কে এই গুমনামি বাবা? আসল পরিচয়ই বা কী তাঁর। তথ্য ঘাটলে জানা
যায়, ১৯৮২ সালে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে সিংহ বাড়িতে এক
সাধুবাবা ছোট এক কামড়ার ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। যতদিন তিনি ভাড়া ছিলেন
কেউই তাঁর চেহারা স্পষ্ট দেখতে পাননি। নিজের আসল নাম কাউকে জানাননি এমনকি কারও
সঙ্গে কথাও বলতেন না। এই কারণেই ওই সাধুবাবাকে ডাকা হত গুমনামি বাবা নামে।
আরও পড়ুন: Subhas Chandra Bose: জানেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কী খেতে বেশি ভালবাসতেন
আরও পড়ুন: Netaji: নেতাজিই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, লেখা হতে পারে নতুন ইতিহাস
তবে একটা সময়ের পর জানা গিয়েছে, ১৯৮৫ সালে সিংহ পরিবারের এক সদস্য তথা বিজেপি নেতা শক্তি সিংহ
গুমনামি বাবার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনেন। জানা যায়,
গুমনামি বাবার মৃত্যুর পর তাঁর বাসভবন ‘রাম ভবন’এ আসেন নেতাজির পরিবারের এক সদস্য। তিনি
নাকি স্বীকার করেছিলেন গুমনামি বাবার ঘরের অধিকাংশ জিনিস
সুভাষচন্দ্র বসুর। কিন্তু একটি রিপোর্টে পেশ করে যেখানে উল্লেখ করা হয় গুমনামি
বাবাকে নেতাজি বলা যায় না। কমিশনের রিপোর্টকে সমর্থন করেন নেতাজি কন্যা অনিতা
বসু। তবে সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয় যে নেতাজিকে গুমনামি
বাবা হিসেবে প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা চলছে যা একপ্রকার ‘অশুভ
প্রচার’।
glIlmer
Mar 21, 2023 21:39 [IST]glIlmer
Mar 19, 2023 17:47 [IST]