কৃষ্ণনগরের দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি’র অমৃতা রায় (Amrita Roy) ও তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ‘রাজমাতা’র পরিবারের সম্পত্তির
পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের যে কোনও প্রার্থীকে টেক্কা দেবে তা সকলেরই জানা। তবে বার্ষিক আয় তাঁর অত্যন্ত কম, প্রার্থীর স্বামীর আয়ও চোখে পড়ার মতো নয়। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের অস্থাবর সম্পত্তির
মধ্যে হীরে, সোনা, রূপার পরিমাণ নজর কাড়তে বাধ্য। দুই প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক, একজন কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন ও অন্যজনের লেখাপড়া
আমেরিকায় (America)।
Lok Sabha Election 2024: অধীরগড়ে জোট বাঁধল ‘পাঠান ব্রাদার্স’
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী ৪৯ বছরের
মহুয়া মৈত্রের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (অঙ্ক ও অর্থনীতি)। ১৯৯৮ সালে
আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের কলেজ থেকে স্নাতক মহুয়া। তিনি নদিয়ার (Nadia) করিমপুর বিধানসভার ভোটার। হলফনামা অনুসারে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে মহুয়ার আয় ১২,০৭,৫৪১ টাকা। ২০১৮-১৯
আর্থিক বছরে মহুয়ার রোজগার ছিল ৫,৫১,০৮০ টাকা। তাঁর বাহন বলতে ২০১৬ সালে কেনা মাহিন্দ্রা
স্করপিও গাড়ি। মহুয়া মৈত্রের আয়ের উৎস হল সাংসদ হিসাবে তাঁর বেতন, প্রফেশনাল ফিস ও গচ্ছিত অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদ।
তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদের
বিরুদ্ধে ফৌজদারী ষড়যন্ত্র, জনপ্রতিনিধি হিসেবে
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির এই
মামলার তদন্ত করছে CBI। এথিক্স কমিটি তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিস্কার করেছে। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, হীরে ৩.২ ক্যারেটের মান, যার মূল্য ৮০ লক্ষ টাকা। ১৫০ গ্রাম সোনা, রূপোর ডিনার সেট, রূপোর টি সেট ও
লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়েলারি রয়েছে কৃষ্ণনগরের
তৃণমূল প্রার্থীর। কৃষি জমি, অকৃষি জমি, বাণিজ্যিক ভবন নেই মহুয়ার। তাঁর
অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৬৬ টাকা।
অন্যদিকে মহুয়ার প্রতিপক্ষ BJP প্রার্থী অমৃতা রায়ের বাড়ি কলকতার কড়েয়া থানা এলাকায়।
বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটার তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এডুকেশনে স্নাতক
১৯৮৩-তে। আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী অমৃতা রায়ের ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে আয় ২৯,৫০০ টাকা। গত ৫ বছরে তাঁর সর্বোচ্চ বার্ষিক আয় ২০১৯-২০ সালে
৫৩,৩৯০ টাকা। ২০২০-২১ সালে অমৃতা রায়ের রোজগার ছিল ২৪,৫০০ টাকা।
তাঁর স্বামী সৌমিস চন্দ্র রায়ের
২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে বার্ষিক রোজগার ২,৯১,৯৩৪ টাকা। ২০১৯-২০-তে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৭,৬৯,৯ ৭৯ টাকা।
স্বামী-স্ত্রীর বার্ষিক আয় তেমন উল্লেখযোগ্য না হলেও স্থাবর সম্পত্তিতে রাজ্যের যে
কোনও প্রার্থীকে টেক্কা দেবেন তাঁরা। কোনও ফোজদারী মামলা নেই অমৃতা রায়ের
বিরুদ্ধে। তাঁর স্বামীর ২০০৫ সালে কেনা টয়োটা করোলা ও ২০১৪ সালে কেনা মারুতি
সুজিকি গাড়ি আছে।
Lok Sabha Election 2024: ভোটে হারলে বাদাম বিক্রি করবেন, স্পষ্ট জবাব অধীরের
হলফনামা অনুযায়ী রাজমাতার মাত্র ৪৫
গ্রাম সোনার গহনা আছে। অস্থাবর সম্পত্তি আছে ১০,৬৮,৭৪৫.৬৭ টাকার। স্বামীর অস্থাবর আছে ১৪,৫২,০৪৫.৫৭ টাকার।
তাঁদের কোনও কৃষি জমি নেই। রাজ পরিবারের উত্তরসূরীর মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ
৫৫৪ কোটি ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৯৭ টাকা। স্ত্রীর আয়ের উৎস আদার সোর্সেস, স্বামীর আয় ভাড়া ও আদার সোর্সেস।