২৬ এপ্রিল শুক্রবার দেশ জুড়ে হয়ে গেল দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ।
২০১৯ সালে ভোট পড়েছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ এবারের ভোট দান গতবারের হারকে টপকাতে পারেনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, অস্বাভাবিক হারে কম ভোট শাসকদল বিজেপি নেতৃত্বের জন্য অশনিসঙ্কেত।
লোকসভা নির্বাচন শুরুর আগে বিজেপির দলীয় সদস্যদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল দেশের ৭৫ শতাংশ ভোটার যেন ভোটমুখো হন, সেই বিষয়ে দেখার। বিজেপি নেতারা তারপর শ্লোগান তুলেছিলেন, 'পহেলে ভোটদান, বাদ মে জলপান।' কিন্তু তআতে যে বিশেষ কাজ হয়নি তার প্রমাণ মিলেছে দ্বিতীয় দফার ভোটেও
শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। সমস্যা হল, এমন সব রাজ্যে ভোটদান কম হয়েছে যেখানে বিজেপিরই আধিপত্য।
উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং বিহারের মতো এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোট পড়ার হার মোটেও সন্তোষজনক নয়। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ ৫৪.৮৩ শতাংশ, রাজস্থানে ৫৯.১৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫২.৬৪ শতাংশ, বিহারে ৫৩.০৩ শতাংশ ও মহারাষ্ট্রে ৫৩.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ত্রিপুরায় ৭৬.২৩ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে ৭১.৮৪ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৭২.১৩ শতাংশ এবং মণিপুরে ৭৬.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
কর্নাটকের ১৫ এবং কেরলের ২০ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। ওই দুই রাজ্যে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৪.৫৭ শতাংশ এবং ৬৫.০৪ শতাংশ। অসমের ৫ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে ভোট পড়েছে ৭০.৬৮ শতাংশ। প্রচন্ড গরমে ভোট৷ অধিকাংশ ভোটকর্মীই বলছেন সকালে দিকে ভোটদানের জন্য লম্বা লাইন থাকলেও দুপুরে সেসবের কিছুই চোখে পড়ছে না।