মঙ্গলবার
দুপুরে বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হয়ে প্রচার করেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে একের পর এক তোপ
দাগলেন। তারপর গেলেন রায়গঞ্জে। এবছর সেখান থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কার্তিক
পাল। তাঁর সমর্থনে সভা করতে এসে এদিন কী কী বললেন নমো, চলুন
একঝলকে দেখে নেওয়া যাক।
এই কয়েকটি ফ্যাক্টরে এখনও পিছিয়ে বিজেপি
শতাব্দীকে পেয়েই নিজেদের ‘আবদার’ উগরে দিলেন বীরভূমবাসী
- প্রধানমন্ত্রীকে দেখে
চিৎকার করতে শুরু করেন দর্শকাসনে বসে থাকা লোকজন। মোদিকে
স্বাগত জানান বাসুদেব সরকার।
- ·
‘ভারত মাতা
কি জয়’ বলে ভাষণ শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানালেন, নববর্ষের প্রীতি, শুভেচ্ছা। তাঁর আরও সংযোজন, অষ্টমীর দিনে
ভৈরবী কালী, বোল্লা কালীর আশীর্বাদ নিতে এসেছেন। তিনি এও
জানান, রামনবমী পালন হবে রাজ্যে।
- ·
নমো জানালেন, বিজেপির
ইস্তাহার মোদির গ্যারান্টি। সেই গ্যারান্টি হল, আগামী পাঁচ বছরে মোদি আবাস যোজনায় ৩ কোটি মানুষের ঘর করে দেওয়া। সকল মানুষ পাবেন মুক্ত
চিকিৎসা। এখন আর কাউকে অসুখ লুকিয়ে রাখতে হবে না।
- ·
পূর্ব
ভারতেও বুলেট ট্রেন চলবে। মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিনামূল্যে বিদ্যুতের জন্য
সোলার প্যানেল দেওয়া হবে।
- ·
মোদি গ্যারান্টির পরবর্তী সংযোজন,
ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছে বিজেপি। ৬ কোটি মানুষ পাচ্ছেন
বিনামূল্যে রেশন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, কোনও বাচ্চারা অভুক্ত থাকবে না। হাজার হাজার কিলোমিটার
জাতীয় সড়ক হয়েছে, আরও হবে।
- ·
এদিনও নরেন্দ্র মোদি জানান, ১০
বছরে যা হল, তা ট্রেলার। এখনও দেশ
এবং বাংলাকে অনেক আগে নিয়ে যাওয়া বাকি। আর এই কাজ শুধুমাত্র বিজেপিই পারবে।
- ·
ভারতীয় জনতা পার্টির প্রসঙ্গ
আসলেই চলে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। এদিনও নমো’র ভাষণে উঠে এল তাঁর কথা।
বাংলায় এসে সেই বাঙালির কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন, শ্যামাপ্রসাদ কাশ্মীরের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তিনিই তাঁর প্রেরণা।
- ·
মোদি বলেন, ‘‘তৃণমূল
চায়, মোদির প্রকল্প যাতে
সাধারণের কাছে না পৌঁছয়। হয় তারা বন্ধ করে দেয়, নয়তো
নিজেদের স্টিকার দেয়। সারা দেশে কোটি মানুষ আয়ুষ্মান যোজনায় মুক্ত চিকিৎসা
পাচ্ছেন। তৃণমূল সরকার জারি করতে দিচ্ছে না।’’
- ·
তৃণমূল ১০০
দিনের কাজের টাকা দিতে দিচ্ছে না। ওরা ইচ্ছা করে বাংলাকে গরিব বানিয়ে রাখতে চায়, যাতে ওদের কারবার ফুলেফেঁপে ওঠে। এখানে
তোলাবাজ, গুণ্ডারা সব সিদ্ধান্ত নেয়।
- ·
এখানে রামনবমীর
জন্য কোর্টে যেতে হয়। তৃণমূল অনুমতি দেয় না। অথচ রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার
অনুমতি দেয় তৃণমূল।
- ·
তৃণমূল
নাগরিকত্ব দেয় যে সিএএ, তার
বিরোধিতা করছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের
অবাধে প্রবেশে ছাড়পত্র দিচ্ছে। বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।
- ·
সন্দেশখালি প্রসঙ্গ নিয়ে আবার
কঠোর হতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদিকে। রায়গঞ্জের মঞ্চ থেকে তিনি বললেন, ‘‘সন্দেশখালির
গুণ্ডারা মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে। সেই অত্যাচারের
অনুমতি কে দিয়েছিল? এই তৃণমূলকে সাজা দেবেন তো?’’
- ·
মোদি বলেন, ‘‘বাংলায়
অত্যাচার এখন ফুলটাইম ব্যবসা। এখানে রাজনৈতিক হত্যা হয়। বাংলার সব মানুষ বলছে,
তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতক, ভ্রষ্টাচার,
পরিবারবাদ।’’
- ·
সবশেষে তিনি জনগণের কাছে অনুরোধ
করলেন, “কার্তিককে ভোটে দিয়ে আমার সাহায্যের জন্য দিল্লি পাঠান।
আপনার প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে বলুন, মোদীজি আপনাদের প্রণাম
জানিয়েছেন।’’
- ·
অবশেষে বন্দেমাতরম ধ্বনি তুলে
মঙ্গলবারের ভাষণ শেষ করেন মোদি।