লোকসভা নির্বাচনের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে ‘প্রহসন’
তা সব রাজনৈতিক দলের পালেই হাওয়া দিয়েছেন। তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের
বিরুদ্ধে হওয়া ‘ষড়যন্ত্র’ দেখতে
পাচ্ছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে যোগ্য
অযোগ্য বাছা সম্ভব। ১৯০০০ চাকরিহারা যে যোগ্য তাও জানানো হয়েছে। শীর্ষ আদালতে
অযোগ্যদের সম্ভাব্য তালিকা জমা দিয়েছে কমিশন। এদিকে কিছুদিন আগেপ্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এসে যারা যোগ্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এবার এই দুই বিষয়কে মিলিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করলেন দুর্গাপুর বর্ধমানের প্রার্থী
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
বুধবার বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজারে প্রাত:ভ্রমণে
বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “"হাইকোর্টের রায় সামনে আসার পরই রাজ্য সফরে
এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, 'ন্যায্য
চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াব, প্রয়োজনে কোর্টে যাব।'
তারপরই প্রধানমন্ত্রীর ভয়ে এসএসসি লুকিয়ে রাখা তালিকা
সুপ্রিমকোর্টে জমা দিতে বাধ্য হয়েছে।"
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে সিবিআইকে উদ্ধৃত করে এসএসসি
জানিয়েছে,
২৫ হাজার ৭৫৩ জনের মধ্যে অযোগ্যের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ৩২৪। এর
পরই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা হাইকোর্টে কেন এই
তালিকা জমা দিল না এসএসসি।
দুঁদে
বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, রাজ্যের মদতে অযোগ্যদের বাঁচাতে
কলকাতা হাইকোর্টে যোগ্যদের তালিকা জমা দেয়নি এসএসসি। ধীরে ধীরে সেটা স্পষ্ট
হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এসএসসি 'দুর্নীতি' মামলায়
২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। চাকরি গিয়েছিল ২৫,৭৫৩
জনের। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালত
আপাতত চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬
জুলাই।