কাঞ্চন মল্লিক-কে প্রচারের মধ্যেই গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেছিলেন কল্যাণ
বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কোন্নগরের নবগ্রামের এই ঘটনাকে ঘিরেই সরগরম হয়েছিল রাজনীতি।
ভিন্ন নেতার ছিল ভিন্ন মত। কেউ কল্যাণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তো কেউ কাঞ্চনের পাশে।
কিন্তু অভিনেতা দেব?
Lok sabha Election 2024: ‘এত মিথ্যে কথা বলেন কেন আপনি?’, মোদিকে সরাসরি তোপ মমতার
যিনি একদিকে তৃণমূলের সাংসদ, লোকসভা ভোটে ঘাটালের প্রার্থী আবার একদিকে অভিনয় জগতে
কাঞ্চন মল্লিকের সহকর্মীও। এই জল্পনা, বিতর্ক নিয়ে, এবিপি আনন্দের 'কার দখলে দিল্লি' অনুষ্ঠানে মুখ খুললেন তিনি।
এবিপি আনন্দের তরফ থেকে এই ঘটনা নিয়ে
দেবকে প্রশ্ন করা হয়, জানতে চাওয়া হয়, রাজনীতি কি তারকাদের ব্যবহার করে? উত্তরে দেব বলেন, 'করে তো বটেই। আমাদের দেশে এটাই এখন রোল মডেল হয়ে গিয়েছে কারণ নেতাদের প্রতি
মানুষের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। ভোট তো বিশ্বাস। প্রত্যেক দলেই তাবড় তাবড়
নেতা-নেত্রী রয়েছেন। কিন্তু ভোট এলে আর তোমাকে ওকে করলে চলছে না। তবে প্রত্যেকটা
ঘটনা আলাদা। বাইরে থেকে দেখলে খারাপ লাগবে যে একজন তারকা বিধায়ককে বের করে দিল
প্রচার থেকে। কিন্তু কল্যাণদার যুক্তিও সঠিক। কিছুদিন ধরে কাঞ্চনদা যেভাবে নিজের
ব্যক্তিগত জীবনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন.. এটা সম্পূর্ণ কাঞ্চনদা আর
কল্যাণদার ব্যাপার। মানুষের প্রতিক্রিয়া তো ম্যাটার করেই। আমরা বুঝি কোন কর্মীকে
লোকজন পছন্দ করে না। অনেক জায়গায় বলেও দেয়, এই কর্মীকে নিয়ে এলে ভোটটা কাটা যাবে। আমরা বুঝি এই নেতা বা এই কর্মীকে সামনে
রাখা যাবে না। এমন সব দলেই রয়েছে। তবে এটা পুরোপুরি কল্যাণদা আর কাঞ্চনদার
ব্যাপার।'
Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটের মধ্যে আবার পড়ে গেলেন মমতা, চোট পেলেন কতটা?
এই প্রসঙ্গে উঠে আসে পার্থ
চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে নোটের বান্ডিল উদ্ধার হওয়ার কথা। তাও
কি ভাবিয়েছিল দেবকে? অভিনেতা বলছেন, 'অবশ্যই ভাবিয়েছিল। কিন্তু আমার প্রশ্ন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা কি কেবল টিএমসিতেই আছে? যে নেতাদের পিছনে ইডি, সিবিআই আছে তারা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে সেটাও মেনে নেওয়া যাওয়া যাবে। সব দল
থেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বের করে দেওয়া উচিৎ।