পুরীর জগন্নাথ ধামকে পৃথিবীর স্বর্গধাম মনে করা হয়। এই স্থান ভগবান বিষ্ণুর অবতার জগন্নাথ, তাঁর দাদা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার লীলাভূমি। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে পুরীতে বিখ্যাত জগন্নাথদেবের রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই বছর রথযাত্রা শুরু হচ্ছে ২০ জুন। ভগবান জগন্নাথের সঙ্গে বোন সুভদ্রা এবং ভাই বলভদ্র রথে চড়ে শহর পরিক্রমায় বেরোন।

আরও পড়ুন: Rath Yatra 2023: দু'ফুট উঁচু সিংহাসনে বসবেন জগন্নাথ, এবছর নয়া চমক থাকছে রথযাত্রায়

জগন্নাথ মন্দিরের অনেক রহস্য রয়েছে যা আজ পর্যন্ত কেউ সমাধান করতে পারেনি। বিশ্বাস করা হয় যে এখানে উপবিষ্ট জগন্নাথের মূর্তির মধ্যে এখনও শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় স্পন্দিত হয়। আসুন জেনে নিই এর নেপথ্য রহস্য কী এবং কেন প্রতি ১২ বছর অন্তর জগন্নাথদেবের মূর্তি বদলানোর সময় পুরোহিতের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: গরমে খান পালং পোলাও, শরীর থাকবে হাইড্রেটেড

পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, বিষ্ণু দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণ রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যেহেতু শ্রী কৃষ্ণ মানবরূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু হলে পাণ্ডবরা তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। এই সময় একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে, কানাইয়ের সমস্ত শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেও তার হৃদয় স্পন্দিত হতে থাকে।

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আজও জগন্নাথের মূর্তির মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় বিরাজমান। ঈশ্বরের এই হৃৎপিণ্ডকে ব্রহ্ম পদার্থ বলা হয়। মন্দিরের প্রথা অনুযায়ী, প্রতি ১২ বছর পর পর মন্দিরের মূর্তি পরিবর্তন করা হলে এই ব্রহ্ম উপাদানটি পুরানো মূর্তি থেকে সরিয়ে নতুন মূর্তিতে স্থাপন করা হয়। এই সময়ে অনেক কঠোর নিয়ম গৃহীত হয়।

যখন নতুন মূর্তি স্থাপন করা হয়, তখন মন্দিরের চারপাশে অন্ধকার করে দেওয়া হয়। যে পুরোহিত এই কাজটি করেন তার চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। কথিত আছে, যে এই আচার দেখে তার মৃত্যু হয়।