হিন্দু ধর্মে, ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা অত্যন্ত শুভ ও পুণ্যময় বলে বিবেচিত হয়। পঞ্জিকা মতে প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে জগন্নাথদেবের
রথযাত্রা বের হয়। এবার এই যাত্রা বের হবে ২০ জুন
২০২৩, মঙ্গলবার। শুধু ভগবান জগন্নাথ নয়, তাঁর দাদা বলরাম এবং বোন সুভদ্রাকেও রথযাত্রার জন্য
নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যে কোনও
মানুষ এই তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই রথযাত্রায় অংশ
নিলে সকল তীর্থের ফল লাভ হয়। আসুন জেনে নিই এই যাত্রা সম্পর্কিত
কিছু মজার বিষয়।
আরও পড়ুন: ঘোড়ার নাল শনির ভীষন প্রিয়, নিজের খারাপ অবস্থা ভাল করুন এটি ব্যবহার করে
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান জগন্নাথকে বিষ্ণুর অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর বের
হওয়া এই রথযাত্রা শ্রী জগন্নাথ পুরী, পুরুষোত্তম পুরী,
শঙ্খক্ষেত্র, শ্রীক্ষেত্র নামেও পরিচিত। দেশ-বিদেশ
থেকে ভক্তরা আসেন এই যাত্রায় যোগ দিতে।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের মাসিহা হয়ে ধরা দিল কেন্দ্র, সরকারের চাপে দাম কমল খাদ্য দ্রব্যের, তেল-ডালের দর কত হল জেনে নিন
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, একবার জগন্নাথের বোন সুভদ্রা শহর দেখার ইচ্ছা প্রকাশ
করেছিলেন। বোনের ইচ্ছার মর্যাদা দিতে এরপর ভগবান জগন্নাথ দাদা
বলভদ্রকে সঙ্গে নিয়ে সুভদ্রাকে রথে বসিয়ে সমগ্র নগর পরিভ্রমণে বের হন। তখন
থেকেই এই রথযাত্রার সূচনা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
রথ নির্মাণে নিম গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়। এই
বিশেষ কাঠকে বলা হয় দারু। এই কাঠ নির্বাচনের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়, যারা গাছ নির্বাচন করে তারপর রথ নির্মাণের জন্য পাঠায়।
ধর্মীয় আচার অনুসারে, জ্যৈষ্ঠ মাসের
পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান জগন্নাথকে ১০৮টি ঘট দিয়ে স্নান করানো
হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে কুয়ো থেকে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার
স্নানের জন্য জল তোলা হয়, তা বছরে একবারই খোলে। তাই এই যাত্রাকে স্নানযাত্রাও
বলা হয়। এই যাত্রার পরে, ভগবান ১৫ দিনের
জন্য বিশ্রামে যান।
জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা মন্দির ত্যাগ করার পর
মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছান। এখানে
পৌঁছানোর পর তাঁরা মাসির তৈরি পুরপীঠা গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ভাই-বোন সাতদিন এই মন্দিরে
বিশ্রাম নেয়।