পুরীর জগন্নাথ যাত্রা বিশ্ব বিখ্যাত।
প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথি থেকে রথযাত্রা শুরু হয়, এই সময়ে জগন্নাথ ছাড়াও তাঁর দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রা রথে
চড়ে পরিভ্রমণে বেরোন।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে জগন্নাথের
রথযাত্রা দেখলেই মানুষের সমস্ত কষ্ট দূর হয়ে যায়। রথযাত্রায় রথের নিজস্ব
গুরুত্ব রয়েছে। এই বছর জগন্নাথ রথযাত্রা শুরু হবে ২০ জুন।
জগন্নাথের রথযাত্রা কীভাবে শুরু
হয়েছিল? তিনটি রথের বিশেষত্ব কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক এ’সব প্রশ্নের উত্তর।
ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা দেবীদের রথগুলি খাঁটি এবং পরিপক্ক নিম
কাঠ দিয়ে তৈরি। এই রথগুলি তৈরিতে কোনও পেরেক বা কাঁটা বা অন্য কোনও ধাতু ব্যবহার
করা হয় না। সমস্ত রথ কাঠের তৈরি এবং এত হালকা যে সহজেই টানা যায়।
জগন্নাথের রথের বিশেষত্ব
৮৩২টি কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি
জগন্নাথের রথটিতে ১৬টি চাকা রয়েছে, যার উচ্চতা ১৩ মিটার। এর রং লাল ও হলুদ। গরুড়ধ্বজ, কপিধ্বজ, নন্দীঘোষ প্রভু
জগন্নাথের রথের নাম। রথের পতাকাকে ত্রৈলোক্যবাহিনী বলা হয়। যে দড়ি দিয়ে রথ টানা
হয় তা শঙ্খচূড় নামে পরিচিত। ভগবান জগন্নাথের রথের রক্ষক হলেন বিষ্ণুর বাহন গরুড়।
আরও পড়ুন: ভক্ত-ভগবানের সম্পর্ক সকল প্রকার জাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে, পুরীতে রথের চাকা আজও থেমে যায় এই মাজারের সামনে
আরও পড়ুন: জগন্নাথের মূর্তি পরিবর্তনের সময় পুরীর মন্দিরে করা হয় এক অদ্ভুত আচার, জেনে নিন
সুভদ্রার রথ
সুভদ্রার রথে দেবী দুর্গার প্রতীক
রয়েছে। সুভদ্রার রথের নাম দেবদলন। লাল এবং কালো রঙে তৈরি এই রথটি ১২.৯ মিটার
উঁচু। রথের রক্ষক হলেন জয়দুর্গা এবং সারথি হলেন অর্জুন। যে দড়ি টানে তাকে
স্বর্ণচুড়া বলে।
বলরামের রথ
ভগবান বলভদ্রকে মহাদেবের প্রতীক বলে
মনে করা হয়। রথের নাম তালধ্বজ। রথের রক্ষক হলেন বাসুদেব এবং সারথি মাতলি। ১৩.২
মিটার উঁচু এবং ১৪ চাকার এই রথটি লাল, সবুজ রঙের।