পয়লা বৈশাখের লখনউয়ের বিরুদ্ধে জয়ে দিয়ে বাংলা নববর্ষে হালখাতা খুলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বৈশাখের প্রথম দুপুরে লখনউকে ইডেন গার্ডেন্সে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল নাইটরা। জয় পেলেও এ দিনের ম্যাচে ক্রিকেটের নন্দনকানন ভরেনি। শাহরুখ খানের উজ্জ্বল উপস্থিতি স্বত্ত্বেও গ্যালারির বহু আসন ছিল ফাঁকা।
রবিবার টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। নাইট অধিনায়কের সিদ্ধান্তে যে কোনও ভুল ছিল না তার প্রমাণ ম্যাচের ফলাফল। ইডেন গার্ডেন্সের উইকেটে নিকোলাস পুরান (৩৯) এবং অধিনায়ক কেএল রাহুল (২৯) ছাড়া লখনউ-এর কোনও ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। ওপেন করতে নেমে কুইন্টন ডি কক মাত্র ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মিডল অর্ডারে ভরসা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন দীপক হুডা (৮)। আয়ূষ বাদোনি শুরুটা ভাল করলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যক্তিগত ২৯ রানে উইকেট হারিয়ে দলকে আরও বিপাকে ফেলেন। রান পাননি মার্কাস স্টইনিসও (১০)। এই পরিস্থিতিতে পুরান ব্যাট হাতে দাপট দেখালেও তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিলেন না। আইপিএল-এ ছন্দ হাতরে বেড়ানো মিচেল স্টার্ক এ দিন তিনটি উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট শিকার বৈভব অরোরা, সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেলের। নির্ধারিত ওভারের শেষে ১৬১/৭ রান তোলে লখনউ।
ইডেনে এই রান কখনওই জেতার পক্ষে যথেষ্ট নয়। এই রান ডিফেন্ড করতে হলে বোলারদের নিজেদের দক্ষতার শীর্ষে উঠে পারফর্ম করতে হত। কিন্তু সেই কাজটা করতে পারেননি লখনউয়ের বোলাররা। শুরু থেকেই রানের মুখ খুলে দেন শামার জোসেফ-অর্শদ খান’রা। যার ফলে ৪.২ ওভার বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হয়নি কেকেআর-এর। সুনীল নারিন (৬) শুরুতেই ডাগ আউটে ফিরলেও ঝড়ে গতিতে রান তোলার পথে কোনও বাধাই সৃষ্টি হয়নি কেকেআর-এর। নাইট জার্সিতে ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন ফিলিপ সল্ট। ১৪টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল সল্টের ইনিংস। ইংল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষ ব্যাটসম্যানকে যোগ্য সঙ্গত দেন শ্রেয়স আইয়ার (৩৮*)। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে অ্যাঙ্কারের ভূমিকা পালন করেন নাইট অধিনায়ক।
লখনউ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে কেকেআর-এর এটিই প্রথম জয়। এর আগের তিনটি সাক্ষাতের তিনটিতেই পরাজিত হয়েছিল নাইট রাইডার্স। লখনউ-এর বিরুদ্ধে এই জয়ের সৌজন্যে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন শ্রেয়াস আইয়ার-সুনীল নারিনরা।