দোল বা হোলির আগে হয় ন্যারাপোড়া যার
আর এক নাম হোলিকা দহন। কেন করা হয় এই ন্যাড়াপোড়া। দোল, হোলি আর অবশ্যই ন্যাড়াপোড়ার নেপথ্যে রয়েছে বেশ কিছু পৌরাণিক কাহিনী। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে হোলি পালিত হয়।
দোলে মোদি সরকারের বিশেষ উপহার, বিনামূল্যে সিলিন্ডার পাবেন সকলে
পুরাণ অনুসারে, হিরণ্যকশ্যপ নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্রের নাম ছিল
প্রহ্লাদ। হিরণ্যকশ্যপ প্রবলভাবে বিষ্ণুবিরোধী। এদিকে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত
এবং এই কারণে তিনি ছিলেন পিতার চোখের বালি। হিরণ্যকশ্যপ বর পেয়েছিলেন যে কেউ তাঁকে
দিন বা রাতে, ঘরের বাইরে বা ভিতরে, মানুষ বা কোনও রাক্ষস, প্রাণী বা কোনও দেবতা হত্যা করতে পারবে না। এই কারণে তিনি হয়ে অঠেন অহংকারী, অত্যাচারী।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুটে নতুন সমস্যা, বিধান মার্কেটে হচ্ছে না কোনও স্টেশন
প্রহ্লাদ বিষ্ণুর ভক্ত হওয়ার কারণে
হিরণ্যকশ্যপ প্রহ্লাদকে হত্যার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। তবে নারায়ণ বারবার প্রিয়
ভক্তকে রক্ষা করতেন। একবার হিরণ্যকশ্যাপ বোন হোলিকাকে তাঁর পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যা
করার জন্য ডেকেছিলেন। হোলিকা বরপ্রাপ্ত ছিলেন যে আগুন তাঁকে স্পর্শ করতে পারবে না।
তাই হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে বসলেন। আগুনে হোলিকা দগ্ধ
হয়ে মারা গেল। অগ্নি প্রহ্লাদকে স্পর্শ করতেও পারল না। তাই দোলযাত্রার আগের
দিনটিকে মন্দের পরাজয় ও শুভশক্তির জয় বলে মনে করা হয়। এই কারণে প্রতি বছর
ন্যাড়াপোড়া বা হোলিকা দহন করা হয়। এর পরে হিরণ্যকশ্যপের পাপের কলসও পূর্ণ হয়।
ভগবান বিষ্ণু নৃসিংহ অবতারে ধারণ করে
হিরণ্যকশ্যপকে বধ করেন।