বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন আর অধরা রইল না। ১৯৮৬ সালের পর ফের বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। ছিয়াশী সালে বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা নক্ষত্র দিয়েগো মারাদোনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা'কে। এবার মেসির হাত ধরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন সমর্থকরা। সেই আনন্দের জোয়ারে গা ভাসাল কলকাতাবাসীও।
ভয়, দুশ্চিন্তা এবং শেষে চোখে জল। না এটি দুঃখের নয় বরং আনন্দের। একটি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেতে দীর্ঘ ৩৬টা বছর অপেক্ষা করতে হল আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। দুই গোলের লিড নিয়ে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলা হল। তার পর দুই মিনিটের মধ্যেই গোলশোধ করল ফ্রান্স। ভয় আর দুশ্চিন্তা তখন আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। কিন্তু না নির্ধারিত ৯০মিনিটে আর গোল হল না। অতিরিক্ত সময়ে ফের দলকে এগিয়ে দিলেন মেসি। স্বাভাবিক ভাবেই ফের আনন্দের মাতলেন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। এর পর ফের গোলশোধ করলেন এমবাপে। আবারও শুরু হল ভয় আর দুশ্চিন্তার প্রহর। খেলা গড়াল ট্রাইব্রেকারে। এই পর্বে দুরন্ত একটি সেভ দিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক ইমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ট্রাইব্রেকারের শেষ মুহূর্তে গঞ্জালো মন্তীয়েলের গোল। তার পরই যেন আনন্দে ফেটে পড়লেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। তখনও আনন্দে চোখের কোন চিক চিক করছিল অসংখ্য সমর্থকদের। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ল কলকাতাবাসীও। বিভিন্ন জায়গায় মেসির ছবি, পোস্টার, ব্যানার নিয়ে মিছিল করতেও দেখা গেল সমর্থকদের। কাতারের আনন্দের আঁচ এসে পড়ল কলকাতাতেও।