একদিকে খেলোয়াড়দের হুঁশিয়ারি, অন্যদিকে সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে কাতার প্রশাসন। কারণ একটাই। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে কোনও ভাবেই সমকামিপ্রেমের প্রচার করা যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও রক্ষনশীল দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে 'হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন' এক সাংবাদিক।
গত সোমবার ইরানের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। এই দিন মাঠে দাঁড়িয়ে লাইভ রিপোর্টিং করার সময় হাসতে হাসতে কাতার নিয়ম ভেঙে দিলেন বিবিসি'র সাংবাদিক এলেক্স স্কট। রিপোর্টিং করার সময় তাঁর হাতেই দেখা গেল ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড। এই মুহূর্তের ছবি নেটমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কাতার প্রশাসন।
কাতারে সমকামী প্রেম নিষিদ্ধ। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ সমকামী প্রেমের সমর্থনে লড়াই করছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেও এই লড়াই জারি রাখার জন্য সাতটি ইউরোপীয় দেশের অধিনায়ক তাদের হাতে সাতরঙা একটি আর্মব্যান্ড(ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড) পরার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই খবর পেয়েই খেলোয়াড়দের হুঁশিয়ারি দেয় বিশ্বফুটবলের নিয়ামক সংস্থাটি(FIFA)। জানানো হয়, ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরলে মাঠে নামার আগেই ওই দেশের অধিনায়কদের হলুদ কার্ড দেখানো হবে। তাই ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন, নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক সহ আরও অনেকেই এই বিশেষ আর্মব্যান্ড পরার ইচ্ছে ত্যাগ করেন। এখানেই শেষ নয় বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেলজিয়ামের আওয়ে কিট-এ সাতরঙা হওয়ার কারণে সেটিকেও বাতিল করে দেওয়া হয় ফিফার পক্ষ থেকে। কিন্তু এত কিছু করেও নিয়ম অক্ষত রাখতে পারল না তারা। ক্যামেরার সামনেই নিয়ম ভেঙে দেখিয়ে দিলেন ওই সাংবাদিক। এই দিন ওয়েলসের ম্যাচ শুরুর আগে সমর্থকদের সাতরঙা টুপি পরার কারণে তাদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।