তৃতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের পর ফের বিশ্বকাপ জিতল তারা। রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনালে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারাল লিওনেল মেসি'র আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে হার'ই ঘুরে দাঁড়াতে শক্তি জুগিয়েছিল মেসিদের। কেমন ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ সফর, জেনে নিন।

বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর থেকে টানা ৩৬টি ম্যাচে অপরাজিত ছিল লিওনেল স্কালোনির দলটি। এর পর কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। মরুদেশে বিশ্বকাপ খেলতে এসে প্রস্তুতি ম্যাচেও জয় তুলে নেন স্কালোনি'রা। আরও কিছুটা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক দুই দিন পর অর্থাৎ গত ২২ নভেম্বর বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয় আর্জেন্টিনার। গ্রুপ র্পবের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের মতো দলটির মুখোমুখি হন আর্জেন্টাইনরা। সৌদির মতো ছোট দলের বিরুদ্ধে বিশেষ সক্রিয় দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের। আর সেই সুবিধা নিয়ে মেসিদের ২-১ গোলের ব্যবধানে হারায় সৌদি আরব।

বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে খেলতে গিয়ে সৌদি আরবের মতো দলের বিরুদ্ধে হার মেনে নিতে পারেনি মেসি ব্রিগেড। মানসিক ভাবে বিরাট আঘাত পান মেসি, ডি পল'রা। শোনা যায়, একে অন্যের সঙ্গে কথাবার্তা বলাও কমিয়ে দেন। এটাই যেন বিরাট শিক্ষা দিয়ে গেল আর্জেন্টিনাকে। ঘুরে দাঁড়ালেন মেসি এবং তাঁর দল।

গ্রুপ পর্বের পরবর্তী দুই ম্যাচে মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ ১৬'র টিকিট নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।গ্রুপ পর্বে বাকি ম্যাচগুলিতে মেক্সিকো এৱ পোল্যান্ড'কে  ২-০ গোলের ব্যবধানে হারান মেসিরা।

শেষ সালের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। এই নক আইট রাউন্ডের প্রথমে ম্যাচে অজিদের ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা।

কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে আর্জেন্টিনা। শেষ চারে যাওয়ার জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হত তাদের। আর সেটাই করে দেখালেন মেসিরা। কোয়ার্টার ফাইনালে ২(৩), ২(৪) ব্যবধানে ডাচদের হারায় আর্জেন্টিনা।

সেমি ফাইনালে মেসিদের প্রতিপক্ষ ছিল ক্রোয়েশিয়া। ফাইনালে যাওয়ার আগে লুকা মদ্রিজদের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচের ফলাফল হয় ৩-০ গোলের।

এর পর, আজকের ফাইনাল ম্যাচে দুর্দান্ত ফর্মে দেখা গেল আর্জেন্টিনাকে। গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই দিন ফাইনালে  ৩-৩ গোলে ড্র করার পর ট্রেইবেকারে শেষ হাসি হাসল আর্জেন্টিনা। ফরাসিদের ৩(৪), ৩(২) গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিলেন মেসিরা।