কর্মজীবী মায়েদের সন্তানদের
দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাড়ি ও অফিস উভয়েরই কাজ সামলাতে
হয়। যার জেরে কর্মজীবী মায়েরা নিজেদের স্বাস্থ্যকে
উপেক্ষা করেন। কিন্তু ভবিষ্যতে এই অবহেলা মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য আশঙ্কাজনক হতে পারে। এই অবহেলা শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের উপরেই খারাপভাবে প্রভাবিত
করে। এই পরিস্থিতিতে, কর্মজীবী মায়েদের
তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমন পরিস্থিতিতে এই মায়েদের স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য রইল কিছু ডায়েট টিপস। কর্মজীবী মায়েরা এই ডায়েট টিপসগুলি
অনুসরণ করে তাঁদের স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ
যত্ন নিতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে-
আরও পড়ুন: Heart Disease: মন খুলে হাসলে আটকানো যায় হৃদরোগ, বলছে গবেষণা
১) পুষ্টি চাহিদা-
বয়সভেদে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব পরিমাণে পুষ্টির চাহিদা রয়েছে। সেজন্য আপনার এই জিনিসটির প্রয়োজনীয়তা জানা উচিত। আপনার
প্রতিদিন কতটা স্বাস্থ্যকর চর্বি, ক্যালোরি, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম খাওয়া উচিত
তা আপনার জানা উচিত। সম্ভব হলে ডায়টিশিয়ানের পরামর্শ নিন।
২) ভুলেও সকালের জল-খাবার বাদ
দেবেন না-
তাড়াহুড়ো করে সকালের জল-খাবার
এড়িয়ে যাবেন না। ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় দিয়ে
দিন শুরু করা বন্ধ করুন। প্রাতঃরাশ করুন যা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। সার দিন এনার্জেটিক থাকতে সকালে
ব্রেকফাস্টে সেদ্ধ ডিম, স্যান্ডউইচ, দই, মসুর ডাল ও খেজুরের সঙ্গে দুধ খেতে পারেন।
৩) স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস-
কাজের ফাঁকে ছোট ছোট খিদে মেটাতে ভরসা রাখুন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসে। বাড়িতেও তাই করুন কাজের
জায়গায় বা হাতের কাছে কিছু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখুন। এক্ষেত্রে
ছোলা ভাজা, শুকনো ফল, মাখনা, চিনাবাদামের মতো
জিনিস রাখা যেতে পারে। এতে অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবনতা
কমে।
৪) লাঞ্চ প্লেট-
লাঞ্চ প্লেটে সকল পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখুন। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে আপনি
দুপুরের খাবারে ডিম, ওটস, রাজমা, মসুর ডাল,
সবজি, মটরশুটি এবং দই
অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Tata Memorial Recruitment 2023: কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল, মিলবে মোটা অঙ্কের বেতনও- দেরি না করেই আবেদন করুন
৫) হ্যাপি ফুড-
যেসব খাবার খেলে আপনার মানসিক চাপ কম
হয় সে সব খাবার খান, তাই বলে জাঙ্ক ফুড নয়। কলা, বেরি, মটরশুটি, ডার্ক চকলেট এবং
নারকেল এই ধরণের খাবার খান। এই খাবারগুলি প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি আপনার
মেজাজকে সতেজ রাখে। এগুলি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য
করে।
৬) ভেজানো শুকনো ফল-
প্রতিদিন সকালে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খান। আমন্ড, কিশমিশ বা আখরোট
ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তারা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। সকালে এগুলো
খেলে আপনি এনার্জি পাবেন।
৭) দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন-
সন্তান, সংসার ও অফিসের কাজে প্রচণ্ড ব্যাস্ত থাকলেও
দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। নিজের সুস্থ না থাকলে আপনার সন্তান কি করে ভাল থাকবে।
তাই নিজের শরীরের সবার আগে যত্ন নিন।