শাম্মী কপূর, যার আসল নাম ছিল শামসের রাজ কপূর। তিনি তাঁর কর্মজীবনে অজস্র চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তবে তিনি ‘ব্রহ্মচারী’ এবং ‘বিধাতা’ ছবিতে যে অভিনয় করেছিলেন তা দর্শকমহলে দারুণ পরিচিত হয়। শাম্মী তাঁর চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের কারণে অনেক সময় শিরোনামে থাকতেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ‘জীবন জ্যোতি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ১৯৫৫ সালে অভিনেত্রী গীতা বালিকে বিয়ে করেন। বিয়ের ১০ বছর পর গীতা বালি পৃথিবীকে বিদায় জানালে জীবনে একা হয়ে পড়েন শাম্মী। এরপর ১৯৬৯ সালে নীলা দেবীর সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু তার আগেই মুমতাজের প্রেমে পড়েছিলেন শাম্মী। মুমতাজ নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে শাম্মী তাঁকে বলেছিলেন যে মমতাজকে বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না অভিনেত্রী। তাই বিয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন। 

২০১১ সালে মুম্বাই মিররের সাথে কথা বলার সময়, মুমতাজ প্রকাশ করেছিলেন যে শাম্মী কপূর তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। ব্রহ্মচারী (১৯৬৮) সিনেমার শুটিংয়ের সময় শাম্মী যখন মুমতাজকে প্রস্তাব দেন তখন মুমতাজও তাতে সাড়া দেন। 

আরও পড়ুন: Jaya Bachchan: পাপারাত্‍জিদের দেখেই মেজাজ হারান জয়া বচ্চন, তারপর যা করলেন

আরও পড়ুন: Salman Khan: সলমন খানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রামদেব

মুমতাজ বলেছিলেন, “আমার বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর যখন শাম্মী আমাকে বলেছিলেন যে তিনি আমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান। সেই সময় আমি অনেক ছবির অফার পাচ্ছিলাম এবং আমি আমার জীবনে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাইনি।” মুমতাজ আরও প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর প্রত্যাখ্যানের পরেও শাম্মী কপূরের সাথে সম্পর্ক তিক্ত হয়নি। মুমতাজের কথায়, “খুব সহজ ছিল বিষয়টা। উনি প্রস্তাব দিলেন এবং আমি খুব বিনয়ের সাথে ‘না’ বললাম। আমি শাম্মীজিকে যথেষ্ট সম্মান করতাম।”

মুমতাজও স্বীকার করেছিলেন যে শাম্মী কপূর খুব ভাল মানুষ এবং একজন দুর্দান্ত অভিনেতা ছিলেন। তিনি বলেন, “তখন ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র দুজন সুদর্শন পুরুষ ছিলেন- ফিরোজ খান এবং শাম্মী কপূর। ধর্মেন্দ্রকেও তালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে, তবে শাম্মী খুব সুদর্শন ছিলেন, এতে কোও সন্দেহ নেই।”

২০১১ সালে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে শাম্মীকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়। ১৪ আগস্ট শাম্মী পৃথিবীকে বিদায় জানান।