লতা মঙ্গেশকর একবার এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতারকে বলেছিলেন, ‘আবার জন্ম না হলেই সবচেয়ে ভাল। যদি হই তাহলে আর লতা মঙ্গেশকর হতে চাই না।”
পর মুহূর্তেই এর ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। অকপটে বলেছিলেন, ‘লতা মঙ্গেশকরের যে যন্ত্রণা তা তিনিই জানেন।” এই কথাটুকু
থেকেই বোঝা যায় জীবনে অসংখ্য কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। মাত্র তেরো বছর বয়সে
মাথার ওপর থেকে সরে গিয়েছিল বাবা নামক বটগাছটি। পুতুলখেলার বয়সে কাঁধে এসে পড়েছিল
সংসারের দায়িত্ব। লতা নিজে একাধিকবার বলেছেন কখনও কখনও সারাদিন জল ছাড়া কিছুই
খাওয়া হত না, একভাবে গান রেকর্ড করতেন। সারাদিন মাথায় একটা
কথাই ঘুরত, পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। সেই মানুষটিই মৃত্যুর
আগে পর্যন্ত প্রায় ৩৭০ কোটি টাকার মালিক ছিলেন। রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি চলে গেলেন
কোকিলকণ্ঠী। ভারত হারালো তাঁর স্বর।
প্রথমবার গান রেকর্ড করে লতা মঙ্গেশকর পারিশ্রমিক
পেয়েছিলেন ২৫ টাকা। সেই সব দিন ভুলতে পারেননি কোনওদিন এই কিংবদন্তি শিল্পী। জীবন
তাঁকে একটা সময় এমন রূপ দেখিয়েছিল যা কোনওদিন লতাজি ভোলেননি। ‘দ্য
লতা মঙ্গেশকর’ হয়েও চিরকাল মাটিতে পা ফেলেই চলেছেন
তিনি।
আরও পড়ুন: পরিবারের চাপে বাঁধা হয়নি ঘর, আজীবন একে অপরকে ভালবেসে গিয়েছেন লতা-রাজ
আরও পড়ুন: লাল-হলুদ ক্লাবের দল গঠনে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর
প্রায় ৩৭০ কোটির মালিক লতা মঙ্গেশকরের গ্যারেজে মৃত্যুর
আগে পর্যন্ত ছিল বেশ কিছু শৌখিন গাড়ি। গানের রয়্যালিটি থেকেই তিনি মাসিক হাতে
পেতেন ৪০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তাহলে বছরে হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রায় ৬ কোটি।
গানের পাশাপাশি ক্রিকেট ও গাড়ির প্রতি একটা ভালবাসা বরাবরই
কাজ করেছে লতা মঙ্গেশকরের। গানের জগতের প্রথমদিকে সাফল্য আসার পর কিনেছিলেন
শেভ্রোলে। উপহার হিসাবে যশ চোপড়ার থেকে পেয়েছিলেন মার্সেডিজ। ছিল ক্রাইসলার, বিউইকও।