কিশোর কুমার ও লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা
জুটি। সেই জুটি ভেঙেছিল কিশোরের মৃত্যুতে। একজন চলে গিয়েছিলেন ৮৭ সালে, অন্যজন চলে গিয়েছেন ২০২২-এ। কিশোরের সুরে লতা যেমন গেয়েছেন ‘ভালবাসার আগুন জ্বেলে কেন চলে যাও’, তেমনই লতার সুরে
তাঁর প্রিয় বন্ধু গেয়েছেন, ‘তারে আমি চোখে দেখিনি’, ‘আমি নেই ভাবতেই ব্যথায় ব্যথায় মন ভরে যায়’-এর মতো
কালজয়ী গান। প্রথম দিকে কিশোর-লতার বন্ধুত্বে মধুর থেকে অম্লর ভাগই বেশি ছিল। পরে
অবশ্য দূর হয়ে যায় সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি। যতদিন দু’জনেই জীবিত
ছিলেন লতা তাঁর কিশোরদাকে রাখি পরিয়ে গিয়েছেন, জন্মদিনে গান
রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন। অথচ একটা সময়ের পর কিশোরের সঙ্গে গান গাওয়া বন্ধ করে
দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁশলে দু’জনেই! কী সেই কারণ?
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে পথদুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধারকার্যে সামিল হলেন সোনু সুদ
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের অপমানের যোগ্য জবাব দিলেন তাসলিমা
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন গীতিকার সমীর অঞ্জন। তিনি
একবার ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এ অতিথি হয়ে এসেছিলেন। তিনিই খোলসা করেছিলেন আসল কারণ।
জানিয়েছিলেন খোশমেজাজী কিশোর গানের আগে খুব আড্ডা দিতেন। গল্প-গুজব হাসি-ঠাট্টাই
নিজেও মেতে উঠতেন, অন্যকেও মাতিয়ে রাখতেন। স্বভাবতই কিশোর কুমারের
সেই আড্ডায় যোগ দিতেন লতাজিও। এত হাসাহাসিতে গল্প-আড্ডা করতে গিয়ে গলা ব্যথা হয়ে
যেত সুরসম্রাজ্ঞীর। এদিকে কিশোর কুমার দিব্যি গান রেকর্ড করতেন। গলা ব্যথা,
ক্লান্তি বোধের জন্য গান করতে বেশ বেগ পেতে হত লতাজিকে। তাই এক সময়
তিনি ঠিকই করে ফেললেন আর সুরসম্রাটের সঙ্গে গান করবেন না।
হাসতে হাসতে তাই ‘কিশোরদা’র উদ্দেশে একদিন লতা মঙ্গেশকর বলেছিলেন, “ওঁকে একাই
গাইতে দাও। আমি আর গান গাইব না ওঁর সঙ্গে।”