এই মুহূর্তে টক অফ দ্য টাউন বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য
কাশ্মীর ফাইলস’। ৯’র দশকে কাশ্মীর
উপত্যকা থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উৎখাত ও তাঁদের গণহত্যার কাহিনি ফুটে উঠেছে
ছবিতে। বহু মানুষ এই সিনেমা দেখে তাঁদের মতামত জানিয়েছে, কেউ
যেমন প্রশংসা করেছেন, তেমন কেউ আবার নিন্দার সুর চড়িয়েছেন।
সম্প্রতি এই ছবি দেখে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছিলেন বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা
নাসরিন। এবার তসলিমা এই প্রসঙ্গে আরও একটি টুইট করলেন। যদিও এখানে সরাসরি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ নাম তিনি করেননি। কিন্তু তাঁর
টুইট থেকেই পরিষ্কার এটির সঙ্গে সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবিটির যোগ রয়েছে।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে সোশ্যাল
মিডিয়ায় নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তসলিমা। বলেছিলেন, ছবিতে
দেখানো ঘটনা সত্যি হলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিজভূমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
সেখানেই থামেননি। তার পরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু
বাঙালিদের উৎখাত করা নিয়েও সিনেমা তৈরি হওয়া উচিত। এবার খানিক সেই দাবিকে উস্কেই
তাঁর বক্তব্য, ‘লজ্জা’ উপন্যাসটি ২৯
বছর ধরে বেস্ট সেলার হলেও, এটি নিয়ে কেউ সিনেমা বানানোর সাহস
দেখালেন না।’
আরও পড়ুন: Nasrin: 'যৌনকর্মী' বলে অপমান, আত্মহত্যার হুমকি দিলেন নাসরিন
আরও পড়ুন: The Kashmir Files: 'দরজায় চিঠি ছিল আজ তোমার পালা', 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' দেখে বিভীষিকাময় দিন স্মরণ অনুপমের মায়ের
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘লজ্জা’। বাংলাদেশে এক হিন্দু পরিবারের করুণ
পরিস্থিতি নিয়ে উপন্যাসটি লিখেছিলেন তসলিমা। হু হু করে বিপুল সংখ্যক কপি বিক্রি
হয়। তার পরেই কট্টর মৌলবাদীদের নজরে পড়ে বইটি। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ‘লজ্জা’কে। এর পরে কট্টরপন্থীদের হুমকির কারণে দেশ
ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা। শুধু তাই নয়, কট্টরপন্থীরা এই বইয়ের
কপি জ্বালিয়েও দেন। কিন্তু তাতেও বইটির জনপ্রিয়তা কমেনি। বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে ‘লজ্জা’। আর এই বিষয় নিয়েই কেউ সিনেমা না করায় ক্ষোভ
প্রকাশ করেন তসলিমা। অনেকেই লেখিকার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনেকে আবার লেখিকার টুইটকে সমর্থন করে অনেকে লেখেন, সত্যি
উপন্যাসটি নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত ছিল।
glIlmer
Feb 22, 2023 18:11 [IST]