সকল দাম্পত্য জীবনেই একটা সময়ের পর তাঁরা সন্তান ধারণের
পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময়েই মা হতে পারেন না অনেক নারীই। বহু মানুষের জীবনে
এই আকাঙ্খা অপূর্ণ-ই থেকে যায়। এর পিছনে যতটা না একজন মানুষের শারীরিক সমস্যা দায়ী
তার থেকে বেশি দায়ী অজ্ঞানতা। কারণ মা হওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম অনেকের কাছেই অধরা থাকে।
বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গেলেও এই সমস্ত দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয় বহু দম্পতি কেই। অনেকেই
অজ্ঞানতা বশত সন্তান উৎপাদনে জটিলতার শিকার হন। সন্তান উৎপাদনে পুরুষের থেকেও বেশি
ভূমিকা থাকে নারীর।
যদিও অতীতে সন্তান ধারণ না করতে পারলে নারীকেই দায়ী করা হত। কিন্তু, বর্তমান
চিকিৎসাশাস্ত্র প্রমাণ করে দিয়েছে একজন পুরুষের পুরুষত্বহীনতাও সন্তান ধারনের পথে অন্তরায়
হয়। নারী ও পুরুষ অংশ নিয়ে সফলভাবে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু-র মিলন ঘটাতে সক্ষম হন।
সকলেরই একটা সহজাত প্রশ্ন থাকে মাসিকের কতদিন পরে নারী শারীরে শুক্রাণু-র
প্রবেশ সন্তান ধারণের সম্ভাবনাকে সবচেয়ে বেশি করে জাগ্রত করতে পারে। চিকিৎসকদের মতে
একজন পরিপূর্ণ নারীর মাসিকের পর শরীরে চার ধরনের অবস্থা তৈরি হয়। এই চার অবস্থার মধ্যে
প্রথম দুই অবস্থায় গর্ভধারণের সম্ভাবনা একদমই কম। তৃতীয় অবস্থা থেকে শারীরিক মিলনে
গর্ভধারণেরসম্ভাবনা বাড়ে এবং চতুর্থ দফায় এই সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
মাসিকের পর প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থা
মাসিকের পর যোনিতে সাদা স্রাব এক্কেবারেই যায় না। যোনিপথ কার্যত শুকনো থাকে।
এই অবস্থায় সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। মাসিকের পর দ্বিতীয়
অবস্থা বলতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সময় যোনিপথকে হালকা ভেজা বলে অনুভূত হয়। কিন্তু
সাদা স্রাব দেখাও যায় না, বা আঙুলের স্পর্শে সাদা স্রাবের চিহ্নও থাকে না। এই সময়ও
শারীরিক মিলন করেন তাহলে তাতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কিছুটা থাকে।
মাসিকের পর তৃতীয় অবস্থা
এই অবস্থায় যোনি পথে সাদা স্রাবের দেখা মেলে। এটা বেশ ঘন এবং আঠালো হয়।
দুই আঙুলে এই সাদা স্রাবকে নিলে দেখা যাবে তা বেশ চিটচিট করছে। এই সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা
থাকে। ২.৫ শতাংশ।
মাসিকের পর চতুর্থ অবস্থা
এই সময়ে সাদা ডিমের অংশ যেমন খুব মসৃণ এবং পিচ্ছিল হয়। অনেকটা তেমন। এই
সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত বলে গন্য করা হয়।
কীভাবে চতুর্থ অবস্থায় গর্ভধারণের পথে এগোবেন
চতুর্থ অবস্থা শেষ হওয়ার পর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত সহবাস চালিয়ে যেতে
হবে। এর ফলে একটা ভালো খবর আশা করতেই পারেন।
