সবে এপ্রিল মাস আর তাতেই গরমের দাপটে নাজেহাল দেশবাসী। মাসের হিসাবে বসন্ত কাল হলেও বর্তমানে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ছুঁইছুঁই। আর সেই গরমে এসি ছাড়া উপায় নেই। কারণ আপাত সময়ের প্রবল দাবদহে স্বস্তি দিতে পারে এসি বা কুলার। তবে প্রশ্ন হল সদ্যোজাত শিশুদের কী এসি বা কুলারের হাওয়ায় শোয়ানো উচিৎ? আদেও কি এগুলি শিশুদের জন্য নিরাপদ? বিশেষজ্ঞদের এই তীব্র গরমে শিশুদের এসি বা কুলারে রাখা নিরাপ তবে কিছু সতর্কতা মানলেই হবে, জেনে নিন বিস্তারিত-

১) সরাসরি যেন ঠান্ডা বাতাস না লাগে- গবেষকদের মতে, আপনি যদি ঘরে কুলার বা এসি ব্যবহার করেন, তাহলে বাচ্চাকে সরাসরি ঠান্ডা বাতাসের কাছাকাছি রাখবেন না। এতে শিশুর স্বাস্থ্যের উপর অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়ে। শিশু যে ঘরে রয়েছে সেখানে তাপমাত্রা যেয সবসময় ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি থাকে।  বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন তাপমাত্রা এর থেকে যেন কম না হয়।

বয়সের আগেই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ছে, প্রতিদিন পান করুন এই রস

২) জানলা খোলা রাখুন- এই প্রবল দাবদাহের সময় স্বস্তি দিতে পারে এসি বা কুলার। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে  যদি তাকে এসি বা কুলার যুক্ত ঘরে রাখেন, তবে অবশ্যই সেই ঘরের জানলা খোলা রাখবেন। যাতে ঘরে হাওয়া বাতাস চলাচল করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন। কারণ বন্ধ ঘরে আদ্রর্তা বেশি থাকে, এতে শিশুর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩) নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন- এয়ার কন্ডিশনার বা কুলার ব্যবহার করলে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায়, যার জেরে শিশুর ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, এসিতে ঘুমালে শিশুর সর্দি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বাচ্চার নাকের চারপাশে অবশ্যই সামান্য তেল লাগাবেন এবং সারা গায়েও ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। এতে করে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা কম হবে।

কাজে যাওয়ার তাড়ায় দ্রুত খাওয়ার শেষ করছেন, কী মারাত্মক ক্ষতি করছেন জেনে নিন

৪) পাতলা চাদর ব্যবহার করুন- রুমে এসি বা কুলার চালালে বাচ্চার গায়ে অবশ্যই একটা পাতলা চাদর দিয়ে রাখুন। কখনওই মোটা চাদর বা কম্বল ব্যবহার করবেন না। এতে করে কোনও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এছাড়াও এসি বা কুলার চালানোর আগে বাচ্চাকে ফুল হাতা জামা পরিয়ে রাখুন। এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভবনা কমবে।