স্ক্যাবিস একটি ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা যা চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। এটি এমন একটি অবস্থা
যা সারকোপ্টেস স্ক্যাবিস দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি 8 পা বিশিষ্ট একটি খুব ছোট জীবানু। এই
সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক খুব চুলকায়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক, যার কারণে এটি একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে খুব সহজেই ছড়িয়ে
পড়ে।
আরও পড়ুন: Corn Flour Substitutes: বাড়িতে কর্নফ্লাওয়ার নেই, বিকল্প হিসেবে ভরসা রাখুন এই তিন উপকরণে
স্ক্যাবিসের কারণ-
এই রোগ সাধারণত স্পর্শের মাধ্যমে হয়। তাছাড়াও রোগীর ব্যবহৃত কাপড় গামছা, বিছানার চাদর ও বালিশ ব্যবহার করলেও এই রোগ হতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা এতে
ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রথমবার সংক্রমণে একজন ব্যক্তির সাধারণত দুই থেকে
ছয় সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। দ্বিতীয় সংক্রমণের লক্ষণগুলি ২৪ ঘণ্টার
মধ্যেই শুরু হতে পারে। এই উপসর্গগুলি শরীরের বেশিরভাগ অংশে, যেমন-কব্জি, আঙ্গুলের ভিতর বা কোমরের আশেপাশে উপস্থিত হতে পারে। রাতের বেলা চুলকানির
তীব্রতা আরও বাড়ে।
স্ক্যাবিসের লক্ষণ-
১) স্ক্যাবিস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ
হল চুলকানি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এই চুলকানি হতে পারে। হাত-পায়ের নখের চারপাশ
থেকে ত্বকে প্রবেশ করে।
২) চুলকানি খুব অসহনীয় হয়ে ওঠে।
যার কারণে ত্বকে ক্ষত তৈরি হয় এবং এই ক্ষত সংক্রমণ বাড়াতে থাকে।
৩) যখন একজন ব্যক্তির মধ্যে গুরুতর
স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হযন, তখন তাঁর ত্বকে উপর একটি পুরু স্তর তৈরি
হয় ।
কিভাবে রক্ষা পেতে পাবেন এই সমস্যা
থেকে-
১) ত্বকে তীব্র চুলকানি হল এর প্রধান
উপসর্গ,
যার জন্য আপনাকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। গুরুতর চুলকানির
ক্ষেত্রে,
অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
আরও পড়ুন: Diabetes & Mangoes: ডায়াবেটিক রোগীদের আম খাওয়া কি উচিত্, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
২) স্ক্যাবিস এড়াতে স্বাস্থ্যবিধির
যত্ন নেওয়া উচিত। আপনার শরীরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩) স্ক্যাবিস মাইট আসবাবপত্র, পোশাক এবং বিছানার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। তাই শরীরের
পাশাপাশি এসব জিনিসও পরিষ্কার রাখতে হবে।