বাঙালি হেঁশেলে কিশমিশ দেখা যাওয়াটা খুব সাধারণ ব্যাপার। পোলাও বা পায়েসে সামান্য কিশমিশ ছড়িয়ে দিলে তার
স্বাদই পাল্টে যায়। তবে জানেন কি, সকালে উঠে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে তার উপকার কতটা? একাধিক ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখে এই কিশমিশ ভেজানো জল।
মূলত, সাধারণ যে কিশমিশ পোলাও বা অন্যান্য রান্নায় দেওয়া হয় ‘মুনাক্কা’ তার থেকে অন্য
ধরনের। এটি আকারে সামান্য বড় কিশমিশ। উত্তরভারতের বহু জায়গায় মন্দিরে এই মুনাক্কা
অর্পণ করা হয় দেবতাকে। এটি জলে ভিজিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিশমিশ কালো হোক বা
লাল,
তা জলে ভিজিয়ে খেলে এবং ভেজানো জলটি পান করলে তার উপকার
কতটা দেখে নিন।
Skin Care Tips: সামান্য এই উপকরণই আপনার চুলকে রেশমের মতো করে তুলবে
কীভাবে খাবেন এই কিশমিশ ভেজানো জল- রাতে ভিজিয়ে রাখুন কিশমিশ। সকালে উঠে সেই জল সামান্য গরম
করে পান করে নিন খালি পেটে। এরপর আধঘণ্টা অন্য কিছু খাবেন না। তবে খেয়াল রাখতে হবে
যে,
সপ্তাহে রোজ নয়, মাত্র ২ থেকে ৩ দিন এই জল খেলেই পাবেন উপকার।
রক্তাল্পতা- কিশমিশ ভেজানো জল রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। সকলেরই
জানা যে কিশমিশ রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে এই কিশমিশ
ভেজানো জল উপকারি, তবে অবশ্যই কোনও
পারিপার্শ্বিক রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিশমিশ খাওয়া ঠিক নয়।
হার্ট ও লিভার- কিশমিশ হার্ট ও লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও
লিভারের সমস্যা, হজমের সমস্যা দূর করতে এই কিশমিশ
ভেজানো জলের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও কোলেস্টেরল দূরে রাখে কিশমিশ।
কিডনি, দাঁত, চুল- কিশমিশের ভেজানো জল কিডনির সমস্যা
দূর করতেও সক্ষম। এমনকি, দাঁত ভাল রাখতে
কিম্বা,
চুলে জেল্লা এনে দিতে এই কিশমিশের গুরুত্ব বেশি।
বেশি খাওয়া ঠিক নয়- বলা হচ্ছে, কিশমিশ বেশি খাওয়া, বা কিশমিশ ভেজানো জল বেশি খেলেও সমস্যা হতে পারে। এতে ফ্যাটি লিভার, সুগার, পেট খারাপের মতো সমস্যা হয়। ফলে কিশমিশ বুঝে শুনে
খেতে হবে। কোনও রোগ ইতিমধ্যেই শরীরকে অস্বস্তিতে রাখতে শুরু করলে চিকিৎসকের পরামর্শ
মেনে কিশমিশ খেতে হবে।