পনির কম-বেশি সকলেই ভালবাসে। আর নিরামিষ খাবার হিসেবে
পনিরের জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে বাংলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই
পোঁছে যায় পনির। বাড়িতে নিরামিষ হবে বলেই ব্যাগের ভিতর সবার
প্রথম জায়গা দখল করে নেয় পনির। আসলে পনিরে
রয়েছে বিশেষ কিছু খাদ্যগুণ। এই খাবারে ভাল পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট,
ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট
ইত্যাদি রয়েছে। এই সব মিলিয়ে প্রোটিন সাধ্যের মধ্যে একটা দারুণ খাবারের বিকল্প হয়ে
উঠেছে।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত পনির আপনি খেতেই পারেন। এর মধ্যে
বিশেষকিছু গুণ রয়েছে যা শরীর ভাল রাখতে পারে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। এবার
আসুন জেনে নেওয়া যাক পনিরের কী কী গুণ রয়েছে-
নিমেষে দূর হবে চুলকানি, এই ঘরোয়া টোটকায় ভ্যানিশ হবে এগজিমা
প্রেগন্যান্সির সময়
গর্ভাবস্থায় শরীরে ভাল পরিমাণে
প্রোটিন ও ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন হয়। কারণ এই সময় সম্ভাব্য মায়ের পাশাপাশি ভ্রূণের
শরীরের গঠন প্রক্রিয়াও চলে। এক্ষেত্রে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম
পৌঁছাতে চাইলে আপনার হাতিয়ার হতে পারে প্রোটিন।
ত্বকের জন্য ভাল
পনিরে ভাল পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এই
প্রোটিন সহ অন্যান্য উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে। এক্ষেত্রে ত্বক হয়ে
যায় উজ্জ্বল। তাই ত্বকের খেয়াল রাখতে চাইলেও মুখে উঠুক পনির।
বুকে কফ জমেছে, শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে ভুলেও খাবেন না এই সমস্ত ফল
হাড়ের জোর বাড়ায়
পনির খাবারটি শরীর ভাল রাখতে পারে।
এমনকী হাড়ের জোর বাড়াতেও পারে পনির। এক্ষেত্রে পনিরের মধ্যে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস
ভাল পরিমাণে থাকে। তাই হাড়ের সমস্যা সমাধান করতে চাইলে আপনার সঙ্গী হতে পারে
পনির।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে
এখনকার দিনে বহু মানুষের ওজন বেশি থাকার
সমস্যা রয়েছে। এবার ওবেসিটি থাকলে ডায়াবিটিস, ফ্যাটি
লিভার, কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে
দেখা গিয়েছে পনির খেলে পেট কিছুটা সময় ভরা থাকে। ফলে খিদে পায় কম। এবার কম খেতে তো
ওজন কমবেই।
তাই নিয়মিত আপনি খেয়ে নিতে পারেন
পনির। তবে পনিরে অনেকটা পরিমাণে ফ্যাটও থাকে। তাই বিষয়টি নিয়ে একটু সতর্ক থাকতে
হবে। বিশেষত, ডায়াবিটিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি সমস্যা থাকলে পনির খাওয়া সময় বিশেষষজ্ঞের পরামার্শ
নিয়ে নেওয়াটাই শ্রেয়।