গরমের দাবদহের জেরে ঘামের সমস্যায় নাজেহাল সকলেই।
কম-বেশি সকলেরই ঘাম হয়। আর এই ঘামের চোটে জামাকাপড় ভিজে যায়, ত্বক চটচট করে, গা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। ফলে জনসমক্ষে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হয়।
ফোনের রঙেই জেনে নিন আপনার চরিত্র
আসলে ঘাম কিন্তু আসলে গন্ধবিহীন।
ত্বকের উপরের স্তরে পৌঁছনোর পর বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মেশার ফলেই ঘাম থেকে
দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ঘামের গন্ধ তাড়াতে আমরা বিভিন্ন নামীদামী পারফিউম বা
বডিস্প্রে ব্যবহার করে থাকি, তবে পারফিউমের সেই গন্ধও খুব বেশিক্ষণ টেকে না। তাছাড়াও, বাজারচলিত এই সব সুগন্ধিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। আপনারা চাইলেই
বাড়িতেই কেমিক্যাল বিহীন ডিওডোরেন্ট তৈরি করতে পারেন। এতে দুর্গন্ধের সমস্যাও
মিটবে আবার ত্বকের ক্ষতিও হবে না। চলুন
জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া উপাদান দিয়েই বানাবেন এই ডিওডোরেন্ট-
উপকরণ –
১/২ কাপ বেকিং সোডা, ১/২ কাপ অ্যারারুট পাউডার, ৫
টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১০-১৫ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল (যেমন -
টি ট্রি তেল, ল্যাভেন্ডার তেল, পেপারমিন্ট তেল আপনার পছন্দ অনুযায়ী)
ডিওডোরেন্ট তৈরির পদ্ধতি-
১) প্রথমে একটি বাটিতে বেকিং সোডা এবং অ্যারারুট পাউডার ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। বেকিং সোডা
দুর্গন্ধ দূর করতে দারুণ কার্যকর। অ্যারারুট পাউডার বাহুমূল
শুকনো রাখতে সাহায্য করে।
২) এরপর এতে নারকেল তেল মেশান। এবার এই উপাদানগুলিকে একেবারে মিশিয়ে
মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। নারকেল তেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, যা গন্ধ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।
৩) এবার এতে আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল
অয়েল মিশিয়ে নিন। এসেনশিয়াল অয়েল শুধুমাত্র সুগন্ধের জন্যই ব্যবহৃত হয় না, পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা গন্ধ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে।
৪) সমস্ত উপাদান ভাল ভাবে মেশানোর
পর একটি এয়ার টাইট পরিষ্কার কাঁচের জারে ভরে রেখে দিন। প্রয়োজনমতো অল্প অল্প করে
নিয়ে বাহুমূলে লাগান।
এই গরমে হিটস্ট্রোক খুবই মারাত্মক, জেনে নিন এর ৫ লক্ষণ সম্পর্কে
বিশেষ টিপস
১) যাদের ত্বক খুব সেনসিটিভ, তারা এতে খুব কম পরিমাণে বেকিং সোডা ব্যবহার করুন।
২) ঘরে তৈরি ডিওডোরেন্টে আপনার
পছন্দের যে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন, তবে টি ট্রি অয়েল সবচেয়ে ভাল বিকল্প।
৩) আরও বেশি ক্রিমি এবং
ময়েশ্চারাইজিং করতে চাইলে, আপনি এতে এক চা
চামচ শিয়া বাটার মেশাতে পারেন।