কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২৬টি ওষুধ বাতিল তালিকা প্রকাশ করা
হয়। আর সেই তালিকাতে র্যানট্যাক,
জিনট্যাকের মত বেশ কিছু ওষুধ যা আমরা ডাক্তারের নির্দেশ চারাই বেশিরভাগ সময়ে ব্যবহার
করে থাকি।
এই ২৬টি ওষুধ বাতিল করার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে যে, এই সব ওষুধে ব়্যান্টিডাইন
রয়েছে এবং ব়্যান্টিডাইনের মধ্যে থাকে এন-নাইট্রোসোডিমেথাইলামাইন নামক একটি উপাদান
আছে। যা থেকে ক্যানসারের সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই
ব়্যান্টিডাইন নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এই ওষুধ নিষিদ্ধ হয়েছে। তাই
আমাদের দেশের বা রাজ্যের চিকিত্সকরাও এই ওষুধ আর প্রেসক্রিপশনে লেখেন না। তবে খোলা
বাজারে এই ওষুধগুলো বিক্রি হত। ভারত এখন পদক্ষেপ নিলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই
এই ওষুধগুলিতে ক্যানসারের আশঙ্কা খুঁজে পেয়েছিল। ২০১৯ সালে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ Vastu Tips: দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে, এই সময় মেনে চলুন এই বাস্তু নিয়মগুলি
আরও পড়ুনঃ Durga Puja 2022: অষ্টমীতে এবার আর জামদানি বা গরদ নয়, অঙ্গ সাজুক এই শাড়িতেই
স্বাস্থ্য মন্ত্রক ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট
অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) এর সঙ্গে এই ওষুধের স্টক থেকে লবণ পর্যায়ক্রমে বের
করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এ নিয়ে তদন্ত চলেছে। ড্রাগ নিয়ন্ত্রকেরা
ব়্যান্টিডাইনযুক্ত ওষুধের নমুনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ব্যাধি এন-নাইট্রোসোডিমেথাইলামাইন খুঁজে পেয়েছেন।
এর জেরেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র।