হিন্দুরা যেকোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে স্বস্তিকের প্রতীক বানিয়ে এর পূজা করে। বিশ্বাস করা হয় এটি করলে কর্ম সফল হয়। স্বস্তিকার প্রতীককে মঙ্গল গ্রহের প্রতীক মনে করা হয়।

স্বস্তিক শব্দটিকে 'সু' এবং 'অস্তি'-এর সংমিশ্রণ বলে মনে করা হয়।'সু' অর্থ শুভ এবং 'অস্তি' অর্থ হওয়া। এর অর্থ স্বস্তিকার মৌলিক অর্থ হল 'সৌভাগ্য', 'মঙ্গল'।

স্বস্তিকা মানে কল্যাণ বা মঙ্গল। একইভাবে স্বস্তিকার অর্থ হল- যিনি কল্যাণ বা সৌভাগ্য নিয়ে আসেন। স্বস্তিক হল একটি বিশেষ ধরনের ফিগার, যা কোনও শুভ কাজ করার আগে তৈরি করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এি চহ্ন চার দিক থেকে শুভ ও শুভ জিনিস আকর্ষণ করে।

আরও পড়ুন: Kali Puja 2022: আর্থিক সংকট কাটাতে দীপাবলির দিন মা লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করুন এই উপায়ে

আরও পড়ুন: Kali Puja 2022: দীপাবলির রাতে প্রদীপ দিন বাড়ির এই স্থানগুলিতে, গৃহে প্রবেশ করবেন মা লক্ষ্মী

যেহেতু কাজের শুরুতে স্বস্তিকা, তাই একে ভগবান গণেশের রূপও ধরা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি ব্যবহার করে, একজন ব্যক্তি সমৃদ্ধি, সমৃদ্ধি এবং একাগ্রতা অর্জন করে। শুধু তাই নয়, যে পূজায় স্বস্তিক ব্যবহার করা হয় না, সেই পূজা বেশিদিন তার প্রভাব রাখতে পারে না।

আপনি যদি সঠিকভাবে স্বস্তিকা তৈরি করে থাকেন তবে তা থেকে প্রচুর ইতিবাচক শক্তি বেরিয়ে আসে।

এই শক্তি বস্তু বা ব্যক্তিকে রক্ষা, সুরক্ষায় সহায়ক।

যদি স্বস্তিকার শক্তি বাড়িতে, হাসপাতালে বা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হয়, তাহলে একজন ব্যক্তি রোগমুক্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন।

ভুলভাবে স্বস্তিকা ব্যবহার করলেও মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

স্বস্তিকার রেখা এবং কোণগুলি একেবারে সঠিক হওয়া উচিত।

ভুলেও বিপরীত স্বস্তিকা তৈরি এবং ব্যবহার করবেন না।

লাল এবং হলুদ স্বস্তিকা সেরা।

যেখানেই বাস্তু দোষ আছে, বাড়ির মূল ফটকে লাল স্বস্তিকা তৈরি করুন।

উপাসনালয়, অধ্যয়ন স্থান এবং বাহনে আপনার সামনে একটি স্বস্তিক তৈরি করলে উপকার পাওয়া যায়।