বেদানা শরীরের পক্ষে খুবই ভাল একটি ফল। এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবে
না। ডালিমে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও জিংক রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং
আয়রনের ভাল উৎস এই ফল। প্রচুর পরিমাণ
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে বেদানা রক্তচাপ কমাতে
সহায়তা করে।
ফলে চিন্তামুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
এছাড়া বেদানা খেলে হার্টের অসুখও কমে। বেদানার আরও কিছু গুণাগুণ, জেনে
নিন।
রাতে ঘুমের মধ্যে ঘেমে যাচ্ছেন, কী রোগের ইঙ্গিত দেখে নিন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
বেদানায় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণ
রয়েছে। শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই
করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বেদানার রস।
হজমশক্তি বাড়ায়:
বেদানায় দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই
ধরনের ডায়াটারি ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়ায়। এতে খাবার ভাল হজম হয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
বেদানা কোলস্টেরলের ঝুঁকি কমায়।
এতে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়:
বেদানা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে
সাহায্য করে। এজন্য বেদানা অ্যালঝেইমার রোগীদের জন্য উপকারী।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়:
আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও ফাইবার
সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে শরীরে রক্ত চলাচল সচল রাখে। এতে
রক্তশূণ্যতার সমস্যা দূর হয়।
ডায়াবেটিসের জন্য:
বেদানা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
উপকারী। এটি মিষ্টি হলেও সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের কোনও
সমস্যা হয় না। বেদানার রসে ফ্রুক্টোজ থাকলেও এটি অন্য ফলের
রসের মতো রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না।
ক্যান্সার প্রতিরোধী:
বেদানা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে
কাজ করে। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১১
সালে ইসরায়েল মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, স্তন ক্যান্সারের কোষের মৃত্যু ঘটাতে পারে এই ফল।
নিয়মিত পোস্ত খাচ্ছেন, তাহলে এবার জেনে নিন এর উপকারিতা সম্পর্কে
ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে:
বেদানা ত্বক সুস্থ রাখতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, সাইট্রিক আসিড ও ট্যানিন সমৃদ্ধ
বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার
সংক্রমণ রোধ করে।