ডিম কম বেশি অনেকেই পছন্দ করেন। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
অমলেট, পোচ বা সেদ্ধ- যে ভাবেই ডিম খান পুষ্টি তো শরীরে ঢুকবেই।
ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
সমৃদ্ধ ডিম শরীরের হাজারও সমস্যায় কার্যকরী। ডিম তো উপকারী বটেই, তবে এর সঙ্গে যদি কয়েকটি উপকরণ যোগ করেন, তাহলে বাড়তি সুফল মিলতে পারে।
ওটমিল
ওজন কমাতে ওটস যে কতটা উপকারী, তা কারুরই অজানা নয়! ওটসে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। পাশাপাশি
এতে থাকা স্টার্চ হজমশক্তিও বাড়ায়। তাছাড়া, শরীরের মেদ ঝরাতে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। ডিম ও ওটমিল
দুইয়েই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ডিমের সঙ্গে ওটমিল খেলে বিপাক হারও বৃদ্ধি
পায়।
গোলমরিচ
ডিমের অমলেট বা পোচে অনেকেই গোলমরিচ
গুঁড়ো ব্যবহার করেন। এতে খাবারের স্বাদ তো বাড়েই, পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকার হয়। গোলমরিচে এমন উপাদান রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমায় এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
রঙবেরঙের ক্যাপসিকাম
হলুদ, সবুজ এবং লাল রঙের ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই ভাল নয়, এর পুষ্টিগুণও অনেক। এগুলি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং এনার্জি বাড়ায়।
নারকেল তেল
সাদা তেলে ডিমের অমলেট বা পোচ বানালে
ক্যালোরি অনেক বাড়ে। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডিম ভাজুন
নারকেল তেলে। ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পলিফেনল সমৃদ্ধ নারকেল তেল শরীরে মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে
সাহায্য করে। এই তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না।
পালং শাক
পুষ্টিগুণে ভরপুর পালং শাক। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। এতে
ক্যালোরির পরিমাণও একেবারে কম। ফলে দ্রুত মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই
ডিমের অমলেট বা ভুজিয়া বানানো সময় এতে পালং শাকও যোগ করতে পারেন।