স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত
এই গবেষণায় গবেষকরা সাতটি ভিন্ন গবেষণা বিশ্লেষণ করেছেন যে কীভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে
থাকার পরিবর্তে হালকা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, যেমন দাঁড়ানো এবং হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা সহ হার্টের স্বাস্থ্যকে
প্রভাবিত করে।
গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে দুপুরের
খাবার বা রাতের খাবারের পর বসে বা শুয়ে না থেকে ২ থেকে ৫ মিনিট হালকা হাঁটা রক্তে
শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। এ ছাড়া খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও
সুগার মাত্রা কমে যেতে পারে। এই গবেষণার লেখক আইদান বাফেট স্বাস্থ্যবিষয়ক
ওয়েবসাইটকে বলেছেন, ‘হালকা কার্যকলাপ
আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়।’
ঘামের কারণে জামা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, এই টোটকা মানলেই নিমেষে গায়েব হবে দাগ
কীভাবে হালকা কার্যকলাপ রক্তে
শর্করার মাত্রা কমাতে পারে?
যখনই আপনি কিছু খান বিশেষ করে উচ্চ
কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলে, শরীরে রক্তে
শর্করার মাত্রা হঠাত্ বেড়ে যেতে থাকে। এটি পোস্টপ্র্যান্ডিয়াল স্পাইক নামে
পরিচিত। শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাত্ বেড়ে গেলে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসরণ
শুরু হয়,
যা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে কোষে গ্লুকোজ পাঠায়, যাতে এটি শক্তির জন্য ব্যবহার করা যায়। কিন্তু রক্তে
শর্করার মাত্রা এবং ইনসুলিনের মধ্যে এই ভারসাম্য খুবই সূক্ষ্ম এবং নিয়ন্ত্রণের
বাইরে চলে যেতে পারে। যদি শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বাড়তে থাকে তবে
কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া বন্ধ করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে।
যা প্রি ডায়াবেটিস বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন এই
গবেষণার লেখক বলেছেন, আপনি যদি খাবার
খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হালকা হাঁটাহাঁটি করেন, তাহলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে পারে, যা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে
পারে।
দোল খেলার আগে মাথায় অবশ্যই দিন এই জিনিস, ক্ষতি হবে না চুলের
গবেষকরা দেখেছেন যে খাবারের পরে বসার
পরিবর্তে কিছুক্ষণ হাঁটা বা দাঁড়ালে পোস্টপ্র্যান্ডিয়াল গ্লুকোজের মাত্রা কমানো
যেতে পারে। কিন্তু, এই গবেষণার লেখকের
মতে,
হালকা হাঁটা খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে, এটি খাওয়ার পরে ইনসুলিনের মাত্রাও উন্নত করে। গবেষকরা
পরামর্শ দিয়েছেন যে খাবারের পরে হালকা হাঁটা শুধুমাত্র রক্তে শর্করার মাত্রা
কমায় না,
ইনসুলিনের মাত্রাও বজায় রাখে।
এছাড়াও এই গবেষণার লেখক আরও বলেছেন
যে সারাদিনে কিছুক্ষণ হাঁটাও খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। সম্ভব হলে সারাদিন বসে
থাকার পরিমাণ কমিয়ে দিন। আপনার কাজ যদি বসেই করতে হয়, তাহলে প্রতি ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরপর উঠে একটু হাঁটুন।