অনেকেই সারাদিনে এক বা একাধিক ডিম খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের নিয়মিত ডায়েটে
একাধিক ডিম থাকে। অনেকেই হয়তো জানেন যে, ডিমের কুসুমে
পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। ফলে অতিরিক্ত ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে পারে। তাই অনেকের ধারণা, বেশি ডিম খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার কিছু গবেষণা বলে ডিম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এর মধ্যে সত্যি
কোনটি-
এক সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খান তাদের হৃদরোগ ও
স্ট্রোকের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। গবেষকরা এই সমীক্ষায় জনসংখ্যা-ভিত্তিক অধ্যয়ন চালান। ডিমের
ব্যবহার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা
জানাই ছিল গবেষকদের মূল উদ্দেশ্য।
গ্যাসের ব্যথায় নাজেহাল, যন্ত্রণা কমাতে খেতে পারেন এই ৩ খাবার
গবেষনায় অংশগ্রহণকারীদের রক্ত থেকে
নেওয়া প্লাজমা নমুনায় ২২৫টি বিপাক পরিমাপ করতে তারা লক্ষ্যযুক্ত নিউক্লিয়ার
ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স নামক এক কৌশল ব্যবহার করেন। এই বিপাকগুলোর মধ্যে, তারা ২৪টি শনাক্ত করেন, যা ডিম খাওয়ার স্ব-প্রতিবেদিত স্তরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
তাই ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর নয় বরং ভাল। হৃদরোগের সামগ্রিক ঝুঁকি কমাতে দিনে অন্তত একটি ডিম খাওয়া
জরুরি। তবে দিনে একটির বেশি গোটা ডিম খাওয়া
এড়িয়ে চলুন।
দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে কাজ করছেন, অজান্তেই শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে
সঠিকভাবে ডিম খাওয়ার পদ্ধতি-
স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেদ্ধ ডিম শরীরের
জন্য উপযোগী। এতে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না।
ডিমের পোচ করেও খেতে পারেন।
তেল দিয়ে ডিম ভাজা খাওয়া ঠিক নয়।
কারণ তেলের ফ্যাট ডিমের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়, যা হার্টের জন্য
নিরাপদ নয়।
ডিমের সঙ্গে নুন মিশিয়ে খাবেন না।
বেশিদিন রাখা ডিম খাওয়া উচিত নয়।