মা হওয়ার পরিকল্পনা করার সময় প্রতিটি মহিলাকেই কিছু বিশেষ
নিয়ম মেনে চলা উচিত। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাতে
গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সময় কোনও জটিলতা না আসে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক শারীরিক
এবং মানসিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হয়। তাই মা এবং শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য
কিছু পরিকল্পনা প্রেগনেন্সির আগেই করা ভাল। চলুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভবতী হওয়ার আগে কোন কোন বিষয়ের দিকে বিশেষ
লক্ষ্য রাখা উচিত-
১) গর্ভধারণ করার আগে ফাইব্রয়েড ও এন্ডোমেট্রিওসিস পরীক্ষা
করে রাখুন।
২) পরিবারে ডাউন সিন্ড্রোম, থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগের হিস্ট্রি থাকলে ডাক্তারকে সেই
সম্পর্কে আগে থেকেই বলে রাখুন।
৩) মূত্রনালীতে সংক্রমণ থাকলে গর্ভধারনের আগে সম্পূর্ণ
চিকিৎসা করুন।
আরও পড়ুন: গরমের জেরে চুলের দফারফা হয়ে গিয়েছে, সুস্থ, ঝলমলে চুল পেতে এই কয়েকটি টোটকা মানতেই পারেন
আরও পড়ুন: বাথরুমে দশ মিনিটের বেশি কাটানো মানে নিজের শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন
৪) জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে
চলুন।
৫) গর্ভাবস্থার আগে এইচআইভি, থাইরয়েড, হেপাটাইটিস বি, এই সকল পরীক্ষা গর্ভাবস্থার আগে করে ফেলুন, এতে শিশুর সংক্রমণের হার কমবে।
৬) মা হতে চাইলে ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। তা নাহলে
নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭) চিকিৎসকদের মতে, শিশুর মস্তিষ্ক ও শিরদাঁড়ার গঠন যাতে সঠিক হয় তার জন্য
গর্ভধারণের আগে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার
খান।
৮) চিকিৎসক দ্বারা তৈরি ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খান এবং
নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।
৯) যদি আপনার ওজন গর্ভধারণের অনুপযুক্ত হয়ে থাকে তবে তা
অবশ্যই নিয়ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার পোস্টপার্টাম ওজন ও শিশুর জন্মের
সময়ের ওজন ঠিক থাকবে।
১০) আপনার যদি হৃদরোগ, ডায়বেটিস, হাঁপানি, কিডনির কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে তা গর্ভধারণের আগে নিয়ন্ত্রনে আনা উচিত।