বিয়ে তো করছেন কিন্তু বিয়ের পর
হানিমুনে কোথায় যাবেন তা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেনে। এদিকে আবার বিয়ের জন্য অনেক ক’টা দিন ছুটি
নিয়ে ফেলেছেন। মধুচন্দ্রিমার জন্য আর বেশি ছুটি হাতে নেই। কিন্তু তাই বলে
মধুচন্দ্রিমা হবে না এটা তো একেবারেই ঠিক নয়, এই সমস্যাও নিমেষে দূর হয়ে যাবে আপনার।
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই আর কোথায় কোথায় যেতে পারেন, তার রুট ম্যাপ দেওয়া হল এখানে।
১) লেপচাজগত
আবহাওয়া ভাল থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার
পাঁচটি শৃঙ্গই দেখা যায় লেপচাজগত থেকে। দার্জিলিং চায়ে চুমুক দিয়ে, তারা ভরা
আকাশের নীচে, আগুন পোহানোর মজাই আলাদা।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে
গাড়িতে লেপচা জগত পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা মতো।
২) মুরুগুমা
অযোধ্যা পাহাড় ছাড়াও পুরুলিয়ার
অন্যতম আকর্ষণ হল মুরুগুমা ড্যাম। এই ড্যামের গা ঘেঁষেই রয়েছে ইকো ফ্রেন্ডলি কটেজ।
এই শীতে পাহাড় ঘেরা ড্যাম আর মিঠে রোদ গায়ে মেখে আদিবাসী গ্রামে ঘোরাঘুরি, রাতে মাদলের
তালে আদিবাসী নাচ, মধুচন্দ্রিমার ক’টা দিন ভরিয়ে তুলবে।
আরও পড়ুন:সুযোগ না দুর্যোগ কী আছে আপনার ভাগ্যে? এক নজরে সাপ্তাহিক রাশিফল
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে আগের দিন রাতে ট্রেনে
উঠলে পরের দিন ভোর ভোর নেমে পড়া যায় পুরুলিয়া। সেখান থেকে গাড়িতে মুরুগুমা আসতে
পারেন। সময় লাগবে এক ঘণ্টা মতো। হোটেলে বলে রাখলে তারাই ব্যবস্থা করে রাখেন। অথবা
নিজেদের গাড়িতেও যেতে পারেন।
৪) চিলাপাতা
যে সব দম্পতি অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ
করেন, তাঁদের জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা হল চিলাপাতার জঙ্গল। একটু আগে থেকে
পরিকল্পনা করলে জঙ্গলের মধ্যেই সরকারি লজ বুক করতে পারেন।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে পৌঁছে যান মালবাজার। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে মালবাজার।