নয়ের দশকের নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আবার আসছে ‘শক্তিমান’। এবার আর ছোটপর্দায় নয়, খাঁটি ভারতীয় প্রথম
সুপারহিরো আসবেন বড়পর্দায়। ‘শক্তিমান’কে সিনেমার রূপ দেওয়ার
স্বত্ত্ব কিনেছে সোনি পিকচার্স। নয়ের দশকের শিশু-কিশোরদের স্মৃতিতে অনেকটা জুড়ে
রয়েছে শক্তিমান ধারাবাহিক। প্রতি রবিবার দুপুর ১২টা বাজলেই টিভির পর্দায় এসে হাজির
হতেন শক্তিমান, গঙ্গাধর, গীতা, কিলবিশ, জয়কালরা। ১৯৯৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে
২০০৫’র ২৭ মার্চ পর্যন্ত প্রতি রবিবার ডিডি ন্যাশনাল
চ্যানেলে সম্প্রচারিত হত ‘শক্তিমান’।
মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মুকেশ খান্না।
শক্তিমান ধারাবাহিকের প্রথম টিজার মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭
সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন 'মহাভারত' খ্যাত অভিনেতা প্রবীণ কুমার সোবতি
আরও পড়ুন: রুপোলি জগতে বাবা মায়ের মুখশ্রীর সঙ্গে হুবহু মিল এই সন্তানদের
নয়ের দশকের ছেলে-মেয়েরা মনসংযোগ, যোগাভ্যাসের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল শক্তিমানের দ্বারাই। মুকেশ খান্না অভিনীত
এই ধারাবাহিকে শক্তিমানের শক্তির উৎস ছিল ৭ চক্র। এই ৭ চক্রের শক্তিতেই নিমেষে
ছাপোষা সাংবাদিক পণ্ডিত গঙ্গাধর শাস্ত্রী হয়ে উঠতেন শক্তিমান। কুন্ডলিনী যোগার এবং
একাগ্রতার মাধ্যমেই এই ৭ চক্রের উদ্ভব হত অতিমানবিক শক্তির অধিকারী শক্তিমানের
দেহে।
গঙ্গাধরের চরিত্রটির কথা প্রথম মুকেশ খান্নার মনে এসেছিল
জেরি লিউয়িস নামে এক মার্কিনি কৌতুকাভিনেতার চরিত্র থেকে। তাঁর চুল এবং দাঁতের
অনুকরণ করেই সকলের সামনে এসেছিলেন পণ্ডিত গঙ্গাধর বিদ্যাধর মায়াধর ওঙ্কারনাথ
শাস্ত্রী।
সুপারম্যানের মতোই স্পেশাল এফেক্টস শক্তিমানেও আনতে আগ্রহী
ছিলেন মুকেশ খান্না। কিন্তু সেই সময় প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না, তাই ইচ্ছাপূরণ সম্ভবও হয়নি।
‘শক্তিমান’-এর প্রযোজনা করেছিলেন
মুকেশ খান্না নিজেই। এমনকী চরিত্রটির স্রষ্টাও ছিলেন তিনি।